বুড়ো হয়ে গেছি বেশ, কিছুটা শিথিল; বুঝতে পারি নি তাই
তোমার একুশতম জন্মদিনে, তিলোত্তমা, কী নিয়ে যাই।
তুমি ঘাসফুল, স্বর্ণলতা, রোদ, পৌষের তুষের আগুন,
কোকিলের ডাক, কৃষ্ণচূড়া, রক্তজবা, নদী, রঙিন ফাগুন।
ঠিক হয় নি আমাকে ডাকা- বর্তমান- এমন রঙিন
রাত্রে, যতোই বিখ্যাত, তবু আমি ভবিষ্যৎহীন।
ব্যাংককের উপহার, ঝকঝকে দেহ নিয়ে এসেছে বন্ধুরা,
জানে তোমার সোনার পাত্রে তীব্র গম ও আঙুরের সুরা
তাদেরই পানীয়। বাজে ড্রাম নাচছে তারা উন্মত্ত দরবেশ,
একটুকু ছোঁয়া, আলিঙ্গন, ও ঠোঁটের জন্য সম্পূর্ণ নিঃশেষ
হ’তে তারা সবাই প্রস্তুত আজ রাতে; তারা দীপ্ত, সাফল্যমণ্ডিত,
এবং সাফল্য- অমরতা- চায় তোমাকে অন্তত একবার দ্বিখণ্ডিত
ক’রে; তবুও, একুশবতী, অপরূপা, কেনো আমাকেই নিলে
নিজ শয্যাকক্ষে; দুই ঠোঁটে একচাক মধু ভ’রে দিলে?
কী ক’রে জেনেছে তোমার একুশতম দেহ আর মন,
আনি নি কিছুই, শুধু ঠোঁটে ক’রে এনেছি একটি দীর্ঘ চুম্বন?