ওই ধেয়ে আসে উন্মত্ত কালবৈশাখী-
বিদ্যুৎঝলক,বজ্রনিনাদ, শিহরণে মুদে আসে আঁখি।
ভেঙে যায় বাসা,ভূলুণ্ঠিত বৃক্ষ, ঢেকে যায় রবি,
এস,সৃষ্টি বুকে নিয়ে লিখে যাও নির্ভীক কবি।
ধ্বংসের ত্রাসে বুক করে দুরু দুরু ভুলে যায় দম্ভ,
পৃথিবীর বাহুবলি পদানত, ভেঙে দেয় অহংকারের স্তম্ভ।
প্রকৃতির ভয়াল রুদ্রমূর্তি নিষ্ঠুরতার নিশান-
যেন সকল পাপের ঔদ্ধত্য পদাঘাতে করবে শ্মশান।
চারিদিকে অন্ধকার,অসহায়, দিশাহারা প্রাণ-
থেমে যায় কোলাহল,শত গৃহবন্দি শোনে মৃত্যুর আহবান।
লণ্ডভণ্ড জনজীবন,ভগ্ন যেন তাসের ঘরবাড়ি,
চোখের জলে হাতরে খোঁজে হারানো ভাতের হাঁড়ি।
কালবৈশাখী ফিরে যায় রেখে যায় ধ্বংসের স্তুপ,
মৃত্যুশোকের মিছিল চলে পৃথিবী নিশ্চুপ।
ক্রোধশেষে দিয়ে যায় হেসে কতই না আশীর্বাদ,
ধরণীর তীব্রদহনে ফাটাচৌচির ক্ষেতে শুরু হয় চাষ আবাদ।
যত ধূলিকণা আর আবর্জনা সরিয়ে, তীব্র দহন জ্বালা-
বৃষ্টিধারায় জুড়ায় প্রাণ শুরু হয় নব সৃষ্টির পালা।
খরার পালা কাটিয়ে ধানের গোলা ভরিয়ে
-সৃষ্টিসুখের উল্লাসে, গাছে ফুল,ফল,পাতা ফলিয়ে-
কালবৈশাখী দেয় কত সুখ,শান্তি ছড়িয়ে।
বয়ে যায় দখিনা বাতাস,নির্মল আকাশ মনে প্রেম রাঙিয়ে।