অনেকখানি খোলা আকাশের নীচে, মেঘলা, একলা
তুমি
শেষ কবে বসেছিলে?
তেমন দিন মনে পড়ে না?
ওগো অমৃতের পুত্র,
তোমার সারা গায়ে ডিজেলের ধোঁয়া
আর কারখানার কালি!
নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে দাপাদাপি করেছে কোনোদিন?
করো নি?
নামো নি নদীর জলে?
ওগো আদমের আত্মজ,
তোমার শরীরে এখন ক্লোরিনের গন্ধ
তোমার পোশাক থেকে ঝুরঝুর করে
খসে পড়ে।
ব্লিচিং পাউডার!
নিজের হাতে
একটা গাছ কখনো
পুঁতেছে মাটিতে?
ছিঃ, সারাজীবন ধরে এত ফলমূল খেয়ে এলে
তার ঋণ শোধ করলে না?
বাতাসের কাছেও তুমি ঋণী
তুমি বাতাসকে হত্যা করতে চেয়েছো
সবুজ আলোর মতন অরণ্যগুলি তুমি সৃষ্টি করোনি
ধ্বংসে মেতে উঠেছে
তুমি বুনো ফুলের ঝাড়ে আগুন লাগিয়ে
সেখানে বসিয়েছে ইঁটভাটা
তুমি নিসর্গের সঙ্গীত
ঢেকে দিয়েছে হাজার রকম চাকার শব্দে
ওগো স্বায়ম্ভূব মনুর সন্তান
একটু থামো
একবার তাকাও নিজের দিকে
তোমার হাতে উদ্যত ছুরি
সেই বিদ্যুৎবর্ণ মোহময় ছুরি তুমি বসিয়ে দিতে চলেছো
তোমার আপন প্রপৌত্রের বুকে!