আমারই অসমাপ্ত কবিতার সুদীর্ঘ শুকনো শরীর
মৌলিক ভাবনার মেঘে ভিজবে বলে’
আজও চিনার বৃক্ষের বনে হিমঝর্ণা খোঁজে ।
জাতিস্মর স্মৃতির চোখে ফুটে ওঠে
আশ্চর্য উপত্যকার থোকা থোকা বরফের ফুল ।
ঝিলমিল ঝিলমের রসে টুপটাপ ঝরে পড়ে
চনমনে আপেলের দানা ।
দাবিহীন ডাল লেকে ভেসে চলে
গোছা গোছা কাশ্মীরী শ্যুটিঙ এর ঋণ ।
আহা গুলমার্গ পাহাড়ের খাঁজে ফলে আছে
উল আর পশমের একাগ্র ওম ধ্যানে
শতাব্দীর শীত ফুঁড়ে শান্তির শিষ্ট কারুকাজ ।
পরিশ্রমী রেকাবের রথে চড়ে
আধশোয়া সোনমার্গের স্বপ্ন দর্শনে যাই ।
ঘুরে ফিরে বুঝি , প্রকৃত প্রেমিক না হলে
বিশুদ্ধ প্রকৃতির মুখ দেখা যায় না।
আখরোটি আস্তরণে ঢাকা পড়ে অসম্পৃর্ণ আশার হরিণ।
জাফরান ঘ্রাণ নিতে নেমে আসি কেশরের ক্ষেতে ।
হয়তো বন্ধু হবে কোনদিন বিচ্ছিন্ন দৃষ্টি আমার ।
অপেক্ষার অহঙ্কারী পা শক্ত করে বেঁধে রাখি
দেবদারু পপলার ফার আর পাইনের বানে ।
যদিও ‘ কিন্তু ‘ শব্দ ওঁত পেতে থাকে
‘এবং ‘ অব্যয়ের বৈশ্বারণ দৃশ্য দ্রাঘিমার বিপুল বাতাসে ।
এক সন্ধ্যা সময়ের আনন্দ কোলাজ কোলে
অবশেষ সিন্ধুর স্রোতে ফিরে আসি অগোছালো অক্ষরনদী ।
বৈশ্বারণ — কাশ্মীরের পহলগামে অবস্থিত বিখ্যাত উপত্যকা।