কেমন আছো নীললোহিত,তোমার দিকশূণ্যপুরে?
বড্ড মন কেমনের রাগিনী বাজে বুকটা জুড়ে।
সেখানে,বসে এখনো কি লেখো কাব্য- গল্প !
যাদের ফেলে গেছো,মনে পড়ে কি অল্প-স্বল্প?
তোমার সৃষ্টির অফুরন্ত ঢেউয়ের দোলায় আমরা সম্মোহিত।
চিরভাস্বর তুমি,মননমাঝে- জেনে রেখো নিশ্চিত।
তোমার’ প্রথম আলো’তে কানায় কানায় ভরলো মন।
‘এক কম্বলের নীচে’ এলাচের কৌটো’ অপ্রেম পত্র,বাবা’- দারুন!
‘নাগচৌধুরীদের বাগানবাড়ি’,’বটুকদাদার গল্প,ক্ষতিপূরণ, শাস্তি,।
বাংলাসাহিত্য জগতের- হীরে মুক্তো,অমূল্য প্রাপ্তি।
নীললোহিত! মনে পড়ে, সাহিত্য আসরে এসেছিলে সস্ত্রীক?
সৌম্য-প্রশান্ত মুখে হাসিটি ছিলো ঝিকমিক।
কাছে বসে শুনিয়েছিলাম কবিতা-তোমায় নিয়ে লেখা।
সৌম্য মুখে ফুটেছিল ভারী স্নিগ্ধ স্মিত হাসির রেখা।
জানো,বড্ড আক্ষেপ রয়ে গেলো,থাকবেও সর্বদা।
ওইযে,সেদিন তোমাকে দেবো বলে সুদৃশ মোড়কে বাঁধা।
সেই উপহার! আজো রয়ে গেছে আলমারিতে।
সেদিন,যেমন,তোমাকে দেখার আনন্দে ভুলে গেছি নিতে।
নীললোহিত! দিকশূণ্যপুরের ঠিকানাটা কি পাওয়া যাবে?
তাহলে,ঠিক উপহারটা পাঠিয়ে দিতাম এই অনামিকার নামে।
জানি,তুমি চিরকালের নিরভিমানী,নেইকো তুলনা।
আক্ষেপ রয়ে গেলো,উপহারটা আর দেওয়া হলো না।