Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » আমেরিকান ঔপন্যাসিক জন হোয়ার আপডিক || Sankar Brahma

আমেরিকান ঔপন্যাসিক জন হোয়ার আপডিক || Sankar Brahma

আমেরিকান ঔপন্যাসিক জন হোয়ার আপডিক

জন হোয়ার আপডিকের জন্ম হয় ১৮ই মার্চ, ১৯৩২ সালে । তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, কবি, লেখক, শিল্প ও সাহিত্য সমালোচক।

আপডিকের লেখা বিখ্যাত Couple (দম্পতি) উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে শহরতলির তিন-চার জোড়া সদ্যবিবাহিত দম্পতির ভেতরকার জটিল সম্পর্ক নিয়ে। এই গ্রন্থে অনেক খোলামেলাভাবে আমেরিকার পারিবারিক-সামাজিক জীবনের ভেতরের ক্ষত-আর্থিক পছন্দ ও বিলাস চিহ্নিত ভোগবাদী মার্কিনিদের একান্ত অস্বস্তির জায়গাটি লেখক চিত্রিত করেছেন। এই কাজ সৎভাবে, সমধর্মী সমাজে বেঁচে থেকে নানা ধরনের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার তরঙ্গে দুলেও যতদূর সম্ভব সৎ ও আন্তরিকভাবে সম্পন্ন করতে পেয়েছেন এর লেখক। ফলে ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত নবেলটি স্বভাবতই তুমুল আলোচনার সূত্রপাত করে। তর্ক-বির্তক দীপ্ত এসব আলাপের ঢেউ বৃদ্ধিকৃত্তিক সাহিত্যের পরিমন্ডল পেরিয়ে সাহিত্যমোদি বিচিত্র সব পারিবারিক বৃত্তে এমনটি নানা রকম পেশাজীবী বৃত্তের গিয়ে লাগে। কেননা, আপডাইক শুধু মানসলোকের টানাপড়েনের ছবিই আঁকেননি, ঐশ্বর্য ও ক্ষমতা দর্পে প্রায়ান্ধ একটি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের ভেতরের গলদ নানাবিধ অসঙ্গতি ও ভন্ডামির চেহারাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ঈড়ঢ়ষবং-কে কেন্দ্র করে জমে ওঠা বিতর্ক একদিকে মননজীবী অগ্রসর সমাজের চিত্তবিনোদনের উৎস হয়েছে, অন্যদিকে তা বিপুলভাবে সাহায্য করেছে গ্রন্থটিকে বেস্ট সেলার হতে। উল্লেখ্য, প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে একটানা চার বছর এই উপন্যাস ছিল সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায়। আপডাইক জন্ম ও বেড়ে ওঠার সূত্রেই রক্ষণশীল পরিবারের রীতিনীতিগুলোর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল শিলিউটন (পেনসিলভেনিয়ার ছোট্ট শহর)সহ যুক্তরাষ্ট্রের আরো কিছু ছোট শহরের মানুষের মূল্যবোধ ও জীবনযাপনরীতি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা। ওইসব ছোট শহরের মানুষ ছিলেন প্রটেস্ট্যান্ট মতবাদের অনুসারী এবং তারা ছিলেন মধ্যবিত্ত মূল্যবোধে আচ্ছন্ন। কিন্তু শত শত বছর ধরে অক্ষুণ্ন ওই মূল্যবোধে চিড় ধরে যায় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আর্থসামাজিক পরিস্থিতি প্রভাবে। কেননা, ততদিন যৌনতা সম্পর্কিত নতুন চেতনা এবং নারী পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক মানসিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। লেখক এসব বিষয়কেই উপজীব্য করেছেন। এই উপন্যাসে দেখা যাচ্ছে যৌনতার খোলামেলা প্রকাশ আর পাত্র পাত্রীদের বল্গাহীন ফুরফুরে মানসতার ছবি। এই গ্রন্থই আপডাইককে শহরতলির ব্যভিচারী জীবনের রূপকার হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করে তোলে। এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস। পাঠকপ্রিয় হওয়ার ফলে বইটি যে কেবল লেখককে প্রতিষ্ঠা এনে গিয়েছিল তা-ই নয়, গ্রন্থটির সাফল্য তাকে গুরুত্বপূর্ণ গগেনহাইম ফেলোশিপ পেতেও সাহায্য করেছিল। আপডাইক ওই আর্থিক অনুদান পাওয়ার পর উৎসাহী হয়ে তার বিখ্যাত খরগোশ সিরিজের বইগুলো ( মোট চারটি) লিখতে আরম্ভ করেন। চার পর্বে সমাপ্ত উপন্যাস চতুষ্টয়ের প্রথমটির প্রকাশকাল ১৯৬০। দশ বছরের বিরতির পর প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় খন্ড(১৯৯১) এরও দশ বছর পর তৃতীয় খন্ড (১৯৮১)। শেষেরটি প্রকাশ পায় নয় বছর পর (১৯৯১)। খরগোশ হচ্ছে ছোট শহরের একজন খেলোয়াড়ের নাম। এ ধরণের মানুষের সঙ্গে আমাদের মাঝে-মধ্যেই সাক্ষাৎ হয়। পুরো নাম হ্যারল্ডর্ যাবিট অ্যাংস্টম। চরিত্রটি মোটেই বুদ্ধিদীপ্ত নয়। অন্ত্যজ শ্রেণির প্রতিনিধিকে নিরাসক্তভাবে কিন্তু দরদ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন আপডাইক। তার অর্থনৈতিক অবস্থা, আকাঙ্ক্ষা অভিরুচি, স্বপ্ন-কল্পনা ও মানসিক পরিস্থিতি চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে এখানে। কাহিনীর কুশীলবরা মেধাবী না হলেও এ জাতীয় নীচু শ্রেণির মানুষকে নিয়ে রচিত গল্পেও লেখক বুদ্ধিদীপ্ত মননের ছবি আঁকতে পারতেন। লেখকের নিজের চেহারা-চরিত্রই এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করত বলে মনে হয়। দেখা যাচ্ছে, ‘খরগোশ’ সিরিজের প্রথম বই বেরোয় ১৯৬০ সালে আর শেষ বইটির প্রকাশকাল ১৯৯০। মাঝখানে ত্রিশ বছরের ব্যবধান। এই দীর্ঘ সময়ের ভেতর মানুষের চিন্তা ধারা ও লাইফস্টাইল অনেকখানিই বদলে গিয়েছিল। মার্কিন সমাজের পটভূমিতে পৃষ্ঠ এই পরিবর্তনের জীবনঘনিষ্ঠ পরিচয় ধৃত আছে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ উপন্যাসে। আপডাইককে এনে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা। ‘খরগোশ’ সিরিজের উপন্যাসগুলো তাকে দেয় সত্যিকার প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি। আর ‘রেচ’ সিরিজের উপন্যাসমালা সেই খ্যাতিতে যোগ করে বর্ণাঢ্যতা। যে বৈচিত্র্যের অন্বেষণ তিনি সারা জীবন ধরে করেছেন, তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে এই সিরিজের দ্বিতীয় বই প্রকাশ পাওয়ার এক বছর আগেই, অর্থাৎ ১৯৭০ সালে জন আপডাইকের ‘বেচ’ সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত হয়। সম্পূর্ণ নতুন এক চরিত্রের মুখোমুখি হলো পাঠক। কাল্পনিক এক ঔপন্যাসিককে নিয়ে এই উপন্যাস। বেচের আশা-উচ্চাশা, মানসবিভ্রান্তি, স্বপ্ন-কল্পনা, নিঃসঙ্গতা ও অনিরামেয় মনোবেদনা অসাধারণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন লেখক এখানে। সমকালের মূল্যবোধ, সুযোগের আরও নানা বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়েছে লিপিকুশলতা ওই মুন্সীআনার সঙ্গে। সিরিজের দ্বিতীয় গ্রন্থ প্রকাশকাল ১৯৮২ সাল। শেষ বইটি আলোর মুখ দেখে ১৯৯৮সারে। দুই যুগের বেশি সময় ধরে লেখক বই তিনটি লেখা শেষ করেছেন। তার খ্যাতির পালে জোর হাওয়া লাগিয়েছে সিরিজের শেষ গ্রন্থটি। এই সমস্ত কাজের জন্য জন আপডাইককে আধুনিক মার্কিন কথাসাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। পরিণত বয়সে তার গদ্য হয়ে উঠেছিল মেদহীন স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত এবং ভাবনা স্বচ্ছল।

আপডিক (একের অধিক উপন্যাসের জন্য) পলিটজার পুরষ্কার বিজয়ী একজন লেখক ছিলেন তিনজন লেখকের মধ্যে (অন্যরা ছিলেন বুথ টার্কিংটন এবং উইলিয়াম ফকনার)।
ধীরে ধীরে আপডিকের আরও কয়েকটি উপন্যাস, এক ডজন ছোট-গল্পের সংগ্রহ, কিছু কবিতা, শিশুদের বই, শিল্প ও সাহিত্য ভাবনা নিয়ে প্রকাশ পায় ।
তাঁর গল্প, পর্যালোচনা এবং কবিতা ১৯৫৪ সালে ‘নিউ ইয়র্কর’-তে হাজির হয়। তিনি নিউ ইয়র্ক রিভিউ বইগুলির জন্য নিয়মিত লেখেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজটি তাঁর “খরগোশ” সিরিজ (উপন্যাস রব্বিত, রান ; খরগোশ রেডুক ; রবিকে ইশ রিচ ; রেবতী এ রেস্ট এবং নববর্ষের খরব স্মরণীয় ), যা মধ্যবিত্তের হারম্যান “খরগোশ” এঙ্গস্ট্রোমের জীবনকে বর্ণনা করে। কয়েক দশক ধরে তরুণ যুবক থেকে মৃত্যু পর্যন্ত উভয় খরগোশ রিচ (১৯৮২) এবং রেবতী এ রেফ (১৯৯০) উভয়ই পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করে।
তাঁর বিষয়টিকে “আমেরিকান ছোট্ট শহর, প্রোটেস্ট্যান্ট মধ্যবিত্ত শ্রেণীর” হিসাবে উল্লেখ করে, আপডিকে তার যত্নশীল কারিগরি, তাঁর অনন্য গদ্যের শৈলী, এবং তাঁর প্রফুল্ল মেজাজের জন্য স্বীকৃত ছিল – তিনি গড়ে বছরে একটি করে বই লিখেছিলেন। আপডিকস তার কল্পিত কণ্ঠস্বরের সাথে অক্ষরযুক্ত “যারা প্রায়ই অশান্তি ভোগ করে এবং তাদের ধর্ম, পারিবারিক বাধ্যবাধকতা এবং বৈবাহিক অবিশ্বাসের সংকটের প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে।”
তার উপন্যাসটি তার মনোযোগ দ্বারা গড়পড়তা, আবেগ, এবং গড় আমেরিকানদের দুর্দশা, খ্রীস্টীয় ধর্মতত্ত্বের উপর জোর দেওয়া এবং যৌনতা এবং যৌনতার বিশদ বিশ্লেষণের সাথে তার উদ্বুদ্ধতা অনুসারে আলাদা করা হয়। তাঁর কাজটি গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনামূলক মনোযোগ এবং প্রশংসা পেয়েছে, এবং তিনি ব্যাপকভাবে তাঁর সময়ের মহান লেখকের একজন বলে বিবেচিত হন। আপডিকের অত্যন্ত স্বতন্ত্র গদ্যের শৈলীটি একটি সমৃদ্ধ, অদ্ভুত, কখনও কখনও আড়ম্বরপূর্ণ শব্দভাণ্ডারের বর্ণনা দেয় যেমন “রূক, বুদ্ধিমান লেখক কণ্ঠস্বর” যেগুলি প্রকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যগত ঐতিহ্যের মধ্যে বদ্ধভ্রষ্টভাবে বিশদভাবে বর্ণনা করে। তিনি তার শৈলীটিকে একটি “তার জাগতিক সৌন্দর্যকে জোর দিতে” একটি প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমেরিকার একজন ঔপন্যাসিক, একজন কবির এটি একটি অত্যাধুনিক শৈলী বলে অত্যন্ত প্রশংসা করা হয়। নভেম্বর “চলমান, ইউসিজি” (১৯৬০ সালে) একটি ভয়েস প্রতিষ্ঠা। এটা প্রত্যেক ধর্মের রীতিনীতি তুলে ধরে ধর্মীয় চিন্তাকে গভীর করে দিচ্ছে <rabbit> চতুষ্কোণে কাজ থেকে প্রতি দশ বছর প্রায় প্রকাশিত। “সান্টোউর” (১৯৬৩ সালে), “চল্লিশের বিয়ে” (১৯৭৬ সালে), সংক্ষিপ্ত সম্পাদনা “ডোভের ফিডার” (১৯৬২, জাতীয় বই পুরস্কার বিজয়ী)।

প্রথম স্ত্রী মেরির কাছ থেকে আলাদা হয়ে আপডাইক বস্টনে পাড়ি দেন ১৯৭৪ সালে। সেখানে বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরম্ভ করেন অধ্যাপনা। দু’বছর পর মেরির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৭৭-এ তিনি দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তিন সন্তানের জননী মার্থা বার্নাডকে। জীবনের শেষ বছরগুলো আপডাইক কাটিয়েছেন ম্যাচাচুসেটস রাজ্যে জর্জটাউনে। ওই শহরেরই একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি।
মৃত্যুর আগে প্রায় তিন দশক ধরে খ্যাতি ভোগ করেছেন এই অসাধারণ প্রতিভাধর ব্যক্তি। ১৯৫০/৫১ সালের দিকে লেখালেখি শুরু করেছিলেন জন আপডাইক। পঞ্চান্ন বছরের সাহিত্যিক জীবনে বই লিখেছেন ষাটটি। বিচিত্র বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তবে দাম্পত্য সম্পর্কের জটিলতা, অবাধ যৌনতা, নারী-পুরুষের মানসিক অবসাদ ও নৈঃসঙ্গ থিম হিসেবে ঘুরে ফিরে এসেছে তার লেখায়। উপন্যাস ও ছোটগল্প ছাড়াও লিখেছেন কবিতা, সাহিত্য সমালোচনা, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। এমনকি বিখ্যাত বেসবল খেলোয়াড় টেড উইলিয়ামস ও তার গল্পের বিষয়বস্তু হয়েছিলেন। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে লিখিত আপডাইকের প্রধান উপন্যাসগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষাটের ও সত্তরের দশকের জীবনধারা নিখুঁতভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ভোগবাদী জীবনের অন্তঃসারশূন্যতা এবং মানব সম্পর্কের টানাপড়েনজনতি উদ্বেগ স্থান পেয়েছিল লেখকের মনোযোগের কেন্দ্রে। তার ছিল তরুণ লেখকসুলভ কৌতূহল ও বৈচিত্র্যবিলাস। সৃষ্টিশীল ছিল সারাজীবনই। জন আপডাইক ছিলেন তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা লেখক। যৌনতাবিষয়ক ধ্যান-ধারণার ক্ষেত্রে তিনি অনেকটাই ভস্নাদিমির নভোকব, আলবার্তো মোরাভিয়া প্রমুখের কাছাকাছি। তিনি পঞ্চাশের দশকের শেষ দিক থেকেই যৌনতা নিয়ে খোলা মেলা মন্তব্য করতে থাকেন যখন আমেরিকার শিল্প-সাহিত্য বোধ এখনকার মতো এতখানি উদার ছিল না। তাঁর নাম দু’বার নোবেল পুরস্কারের মনোনয়নের জন্য নির্বাচিত হলেও পুরস্কার তার ভাগ্যে জোটেনি। নোবেল পুরস্কার করায়ত্ত করতে না পারলেও আপডাইক দু’বার পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত হন। প্রথমবার তাঁর উপন্যাসের জন্য, ১৯৮১ সালে, দ্বিতীয়বার ১৯৯১সালে উপন্যাসের জন্য। টমাস হার্ডি, ন্যাথনিয়েল হথর্ন প্রমুখ উনিশ শতকের লেখকদের মতো আপডাইক এমন এক শৈলীর অধিকারী হয়েছিলেন- যা তাকে একইসঙ্গে সিরিয়াস এবং জনপ্রিয় লেখকে পরিণত করেছে। জন স্টেইনবেক, আর্নেস্ট হোমিংয়ে, জ্যাক লন্ডন প্রভৃতি লেখকের গল্প উপন্যাস পড়লে তাদের জীবনদৃষ্টির দার্শনিক ভিত্তি অনুভব করা যায়। আপডাইকের কথাসাহিত্য আমাদের মনে ওই ধরণের কোনো অনুভূতির জন্ম দেয় না বটে; কিন্তু বোঝা যায় এই ব্যক্তি জীবনপিয়াসী লেখক। যে ধরণের অভিজ্ঞতা গদ্য আর শিল্পদৃষ্টির সুষম মিশ্রণ ঘটেছে তার লেখায় তা খুব সুলভ নয়। ইংরেজি ভাষার কথাশিল্পীদের মধ্যে সুলেখক অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু জন আপডাইকের রচনা আমাদের নানান জিজ্ঞাসার মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। তেমনটা ঘটে খুব অল্প সংখ্যক লেখকের বেলায়।

আপডিকের “এন্ড পি” এর প্লট এইরকম –
স্নান স্যুটের পরে তিনটি নগ্নপদী মেয়েরা একটি এন্ড পি মুদি দোকানের মধ্যে চলাচল করে, গ্রাহকদের আতঙ্কিত করে কিন্তু নগদ নিবন্ধনের(Cash registration) কাজ করে দুই যুবকের প্রশংসা করে। অবশেষে, ম্যানেজার মেয়েদের লক্ষ্য করে এবং তাদের বলে যে তারা যখন স্টোরটিতে প্রবেশ করবে তখন যথাযথভাবে পোশাক পরিধান করে এবং ভবিষ্যতে তারা তাদের স্টোরের নীতি অনুসরণ করে চলে।
মেয়েরা চলে যাচ্ছে, ক্যাশিয়ারদের একজন, স্যামি, ম্যানেজারের কথা শেষ হলে সে বলে, তিনি মেয়েদের ছাপিয়ে আংশিকভাবে এই কাজটি করেন এবং আংশিকভাবে কারণ তিনি মনে করেন যে ম্যানেজার খুব বেশী কিছু পেয়েছেন তাই তরুণ মহিলাদেরকে বিব্রত করতে হবে না।
গল্পটি প্রথম ব্যক্তি স্যামির দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়। বেশিরভাগ গল্প বর্তমান কালের মধ্যে বলা হয় যেমন স্যামি কথা বলছে।
গল্পটি স্যামি একা পার্কিং লটের সঙ্গে স্থায়ী হয়, মেয়েরা চলে গেছে তিনি বলেন যে তার “পেট হিংস্র ধরণের হয়ে পড়েছে কারণ আমি অনুভব করলাম পৃথিবীটা পরবর্তীতে আমার কাছে কতটা কঠিন হবে।”
তার গ্রাহকদের সম্পর্কে স্যামি এর নিন্দনীয় পর্যবেক্ষণ, যাকে তিনি প্রায়ই “ভেড়া” বলে ডাকেন, সে হাস্যকর হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি মন্তব্য করেন যে যদি একটি বিশেষ গ্রাহক “সঠিক সময়ে জন্ম নেয় তবে তারা তাকে সালেমে পুড়িয়ে ফেলতো।” এবং এটি একটি প্রভাশালী বিস্তারিত যখন তিনি তার আড়ম্বরপূর্ণ এবং তার উপর নম গিঁট বন্ধন বর্ণনা করে, এবং তারপর যোগ করে, “আপনি কখনও বিস্ময়ের উদ্রেক করেছেন,”।
কিছু পাঠক স্যামির সেক্সবাদী মন্তব্যগুলি পড়ে একেবারে কাঁপতে কাঁদতে পাবে। মেয়েদের দোকান প্রবেশ করে, এবং কথক তারা তাদের শারীরিক চেহারা জন্য মনোযোগ খোঁজা হয় অনুমান। স্যামি সব বিবরণ উপর মন্তব্য এটি প্রায় অজুহাত একটি অদ্ভুততা যখন তিনি বলেন, “আপনি নিশ্চিত কিভাবে মেয়েরা ‘মন কাজ (আপনি কি সত্যিই মনে হয় এটি একটি মন আছে বা একটি গ্লাস থেকে একটি মৌমাছি মত একটু buzz) হয়।
স্যামি বলেছেন:
“আপনি কি জানেন, সৈকত এ স্নান স্যুট একটি মেয়ে আছে এটা এক জিনিস, যেখানে কি একদৃষ্টি সঙ্গে একেবারে একে অপরের দিকে অনেক কিছু দেখতে পারেন, এবং একটি এবং পি শীতল অন্য জিনিস, প্রতিপ্রভ আলোর অধীনে , সমস্ত স্ট্যাককৃত প্যাকেজগুলির বিরুদ্ধে, আমাদের চাকারবার্গ সবুজ-এবং-ক্রিম রাবার-টাইল তল উপরে নগ্ন বরাবর paddling সঙ্গে তার পায়ে। “
স্যামি স্পষ্টত মেয়েরা যে শারীরিকভাবে লোভনীয় তা খুঁজে পায়, কিন্তু তিনি তাদের বিদ্রোহ দ্বারা আকৃষ্ট হয়। তিনি “ভেড়া” এর মতো হতে চান না, তিনি এই ধরণের মজা করে থাকেন, সেইসব গ্রাহক যারা মেয়েদের দোকানটিতে প্রবেশ করে যখন তারা বিস্মৃত হয়।
মেয়েদের যে বিদ্রোহের শিকড় আছে তা হল অর্থনৈতিক বিশেষাধিকার, স্যামির কাছে বিশেষ সুবিধা নেই। মেয়েদের ম্যানেজারকে বলুন যে তারা দোকানটিতে প্রবেশ করেছে শুধুমাত্র কারণ তাদের মায়ের একজন তাকে কিছু হ্যারিং নাটক বাছাই করার জন্য বলে, একটি আইটেম যা স্যামির একটি দৃশ্য কল্পনা করে যে “পুরুষদের আইসক্রীম পোঁচা এবং নম্র সম্পর্কের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল এবং নারীদের একটি বড় গ্লাস প্লেট বন্ধ toothpicks নেভিগেশন হরিণ নাচ বাছাই স্যান্ডেল ছিল। ” এর বিপরীতে, যখন স্যামির বাবা-মা “কেউ আছে তখন তারা খাড়া পায় এবং যদি এটি একটি চকচকে চটজলদি লম্বা চশমা দিয়ে থাকে” তারা এটা প্রতিটি সময় করবেন “কার্টুনগুলি stenciled।”
শেষ পর্যন্ত, স্যামি এবং মেয়েদের মধ্যে পার্থক্যটি বোঝায় যে তাদের বিদ্রোহের চেয়ে তাদের আরও বেশি গুরুতর প্রভাব রয়েছে। গল্প শেষে, স্যামির চাকরি হারিয়েছে এবং তার পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করেছে। তিনি মনে করেন “পৃথিবী কতটা কঠিন” হতে যাচ্ছে, কারণ “ভেড়া” হবেন না অতটা সহজে হাঁটবেন না। এবং এটা অবশ্যই তার পক্ষে সহজ হবে না কারণ মেয়েদের জন্য এটি হবে, যারা “এখান বাস করে, যেখান থেকে ভিএলটি রান করা ভিড়টি চমৎকার ফাঁকা।”
“অলিভারের বিবর্তন” শেষ বিবরণ জন আপডাইক এস্কিয়ার পত্রিকাটির জন্য লিখেছেন। এটি মূলত ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। আপডিকের মৃত্যুর পরে ২০০৯ সালে, পত্রিকাটি বিনামূল্যে অনলাইনের জন্য এটি তৈরি করেছিল।

আনুমানিক 650 টি শব্দে, গল্পটি ফ্ল্যাশ কল্পকাহিনীর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। প্রকৃতপক্ষে, ২০০৬ সালের সংগৃহীত ফ্ল্যাশ ফিকশন ফরওয়ার্ডের মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত ছিল জেমস থমাস এবং রবার্ট শ্যাপার্ড দ্বারা সম্পাদিত।
“অলিভারের বিবর্তন” তার জন্ম থেকেই তার নিজের পিতামাতার প্রতি ওলভারের অস্থির জীবন সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করে। তিনি একটি শিশু “দুর্ঘটনার জন্য আকৃষ্ট।” একটি বাচ্চা হিসাবে, তিনি mothballs খায় এবং তার পেট পাম্প করা প্রয়োজন, তারপর পরে প্রায় সমুদ্রের মধ্যে drowns যখন তার বাবা একসঙ্গে সাঁতার কাটা। তিনি শারীরিক দুর্ব্যবহারের সাথে জন্মগ্রহণ করেন যেমন তাৎক্ষণিকভাবে পশুর প্রয়োজন এবং “নিদ্রালু” চোখ যা তার পিতা-মাতা এবং শিক্ষকরা যখন থেরাপির সুযোগ পাস না হওয়া পর্যন্ত লক্ষ্য করে না।
অলিভারের খারাপ ভাগ্যের অংশ হল যে তিনি পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সন্তান। ওলভারের জন্মের সময় “বাবা-মা’-র জন্য” শিশু-পালনকর্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা [পাতলা] পরিধান করা হয় ” তার শৈশব জুড়ে, তারা তাদের নিজস্ব বৈবাহিক বৈষম্য দ্বারা বিভ্রান্ত হয়, অবশেষে তিনি তেরো যখন তালাকপ্রাপ্ত।
অলিভার হাইস্কুল এবং কলেজে চলে যায়, তার ছাত্রছাত্রী ড্রপ হয়, এবং তার একাধিক গাড়ী দুর্ঘটনা এবং তার বেপরোয়া আচরণ সম্পর্কিত অন্যান্য আঘাতের হয়।
একটি বয়স্ক হিসাবে, তিনি একটি চাকরি এবং ক্রমাগত squanders সুযোগ ধরে রাখতে পারে না। যখন ওলভারে একজন মহিলাকে বিয়ে করে, যিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন – “পদার্থ অপব্যবহার এবং অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ” – তিনি যেমন আছেন, তার ভবিষ্যত অন্ধকারে মনে হয়।
যেমনটি দেখা যাচ্ছে, যদিও ওলভার তার স্ত্রীর তুলনায় স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, এবং গল্পটি আমাদের বলে, “এটা কী জীবন ছিল”?
আমরা অন্যদের আশা করি, তারা প্রদান করার চেষ্টা করে। “তিনি একটি চাকরি স্থির করেন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য একটি নিরাপদ জীবন তৈরি করেন – এমন কিছু যা পূর্বে তার উপলব্ধির থেকে সম্পূর্ণরূপে অনুভূত ছিল।

বেশিরভাগ গল্পের জন্য, বর্ণনাকারী একটি অস্পষ্ট উদ্দেশ্যে স্বর গ্রহণ করেন। যদিও ওলিরের কষ্টের কারণে বাবা-মায়েরা কিছু অনুশোচনা ও দোষ প্রকাশ করে, তবে কথিত নাটকটি সাধারণত অস্পষ্ট মনে হয়।
কাহিনীগুলির বেশিরভাগ গল্প শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো মনে হয়, যেন ঘটনাগুলি কেবল অনিবার্য। উদাহরণস্বরূপ, আপডিক লিখেছেন, “এবং এটি ঘটেছিল যে তিনি কেবল ভুল, দুর্বল বয়স ছিল যখন তার বাবা-মায়েরা তাদের বিচ্ছেদ ও বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল।”
পর্যবেক্ষণ যে “বেশ কয়েকটি পরিবারের অটোমোবাইল চাকা এ তার সাথে একটি ধ্বংসাত্মক শেষ পূরণ” যে অলিভার সব কোন সংস্থার আছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সে এমনকি বাক্যও নয়! তিনি যে গাড়ি চালাচ্ছেন (বা তার নিজের জীবন) তেমনই চলছে; তিনি শুধু সব অনিবার্য দুর্ঘটনার চাকা হতে “ঘটে”।
অদ্ভুতভাবে, বিচ্ছিন্ন স্বর পাঠক থেকে উচ্চতর সহানুভূতি আমন্ত্রণ জানায়। অলিভারের বাবা-মায়েরা দুঃখজনক কিন্তু অকার্যকর, এবং নাটকটি তার উপর বিশেষ অনুভূতি প্রকাশ করে না, তাই অলিভারের জন্য দুঃখিত বোধ করার জন্য এটি পাঠককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গল্পটির শেষ দিকে উত্থাপিত উভয়টি বর্ণনাকারীর আলাদা আলাদা দুটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে।
এই বিন্দু দ্বারা, পাঠক ইতিমধ্যে অলিভারে বিনিয়োগ এবং তার জন্য rooting হয়, তাই এটি একটি ত্রাণ যখন অবশেষে অবশেষে যত্ন নেয় বলে মনে হয়।
প্রথমত, যখন আমরা জানতে পারি যে বিভিন্ন অটোমোবাইল দুর্ঘটনাগুলি অলিভারের দাঁত কিছুটা ঠেলে ফেলেছে, আপডিক লিখেছে:
“দাঁত আবার দৃঢ় হয়ে উঠেছে, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও, তার নির্দোষ হাসি, ধীরে ধীরে তার মুখের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে কারণ তার নতুনতম দুর্ব্যবহারের সম্পূর্ণ হাস্যপরিবর্তন ঘটেছে, তার সেরা বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। তার দাঁত ছিল ছোট এবং বৃত্তাকার এবং ব্যাপকভাবে স্পেস – শিশুর দাঁত । “
এটি প্রথমবারের মতো ওলভারের কল্যাণে এবং তার প্রতি কিছু স্নেহ (“নির্দোষ হাসি” এবং “সেরা বৈশিষ্ট্য”) মধ্যে কথিত কিছু বিনিয়োগ (“ঈশ্বরকে ধন্যবাদ”) প্রদর্শন করে। শব্দ “শিশুর দাঁত,” অবশ্যই, অলিভারের দুর্বলতা পাঠক মনে করিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ত, গল্পের শেষ দিকে, কথকটি শব্দটি ব্যবহার করে “তাকে এখনই দেখতে হবে।” দ্বিতীয় ব্যক্তিটি ব্যবহার করা গল্পের বাকীদের তুলনায় যথেষ্ট কম আনুষ্ঠানিক এবং আরো কথোপকথন এবং ভাষা অলিভারের পথ ধরে গর্ব এবং উৎসাহের প্রস্তাব দেয়।
এই সময়ে, স্বরও নজর কাব্যগ্রাহ্য হয়ে যায়,
“অলিভার ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং তাদের দুইজনকে [তার বাচ্চারা] একসঙ্গে ধরে রাখে। তারা একটি ঘরের মধ্যে পাখি। তিনি একটি গাছ, আশ্রয়কেন্দ্র, তিনি দুর্বলদের একজন অভিভাবক।”
আমি যে সুখী শেষ উপায়ে মোটামুটি বিরল তর্ক করা হবে, তাই আমি মনে করি এটা আমাদের কথাসাহিত্য জিনিসটা ভালভাবে চলতে না হওয়া পর্যন্ত গল্পে আবেগের বিনিয়োগ না মনে হয় যে বাধ্যকারী মনে হয়। অলিভার কি অর্জন করেছেন, অনেক মানুষের জন্য, কেবল একটি সাধারণ জীবন, কিন্তু এটা তার নাগালের বাইরে ছিল যে এটি উদযাপনের একটি কারণ – আশাবাদী হতে পারে যে কেউ তার জীবদ্দশায় নিরবচ্ছিন্ন বলে মনে হতে পারে এমন বিবর্তিত হতে পারে এবং তা অতিক্রম করতে পারে ।

গল্পের প্রথম দিকে, আপডিক লিখেছেন যে যখন অলিভারের কাস্ট্টস (যেগুলি তীক্ষ্ণ ফিতাগুলি সংশোধন করতে) মুছে ফেলা হয়েছিল, তখন তিনি সন্ত্রাসে কাঁদছিলেন কারণ তিনি মনে করেছিলেন যে এই ভারী প্লাস্টারের বুটগুলি ভাঁজকে ঝুলানো এবং বাম পাশে বপন করা নিজের অংশ ছিল। আপডিকে এর গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভয়াবহ বোঝা যা আমরা কল্পনা করি তা নিজেই একটি অংশ অপরিহার্য নয়।

————————————————-
[ সংগৃহীত ও সম্পাদিত।
কৃতজ্ঞতা ও ঋণস্বীকার –
১).অন্তর্জাল (তথ্য-সংগ্রহ)।
২). সাঈদ হোসেন চৌধুরী(সভাপতি ও প্রকাশক – এইচআরসি মিডিয়া ভবন।)
৩). কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ ( ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক – এইচআরসি মিডিয়া ভবন।)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress