আমি থাকি আমারই ধরনে; কারও ভাবনার ছাঁচে
কখনও পড়ি না ধরা, অনুমান করি। একটি সংসারে আছি
বহুদিন, অথচ সংসারী নই। নিয়ত বাজাই
আত্মলোপী একতারা, তবু বাউলের আলখাল্লা অদ্যাবধি
করিনি ধারণ অঙ্গে। আকাশের চাঁদ হাতে আসে
মধ্যরাতে, তারার নূপুর বাজে ঘরে নিস্তব্ধ প্রহরে মাঝে মাঝে।
আমার সংকেতে, কিন্তু যাদুকর
আমাকে যাবে না বলা কোনও মতে, এমনই তরিকা অধমের
আমার বাড়ির কাছে অদূরে দাঁড়ানো গাছে সবুজ পাতার
সমারোহ দেখি, ঝরা পাতার নীরব কান্না শুনি
কখনও চলার পথে, কষ্ট পাই। পথের কিনারে অসহায় একজন
যখন দাঁড়িয়ে থাকে, বেদনার্ত হয় মন। মনে হয়, সমস্ত শহর
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে এতিমের মতো। ঘরে ফিরে
কবিতার খাতা খুলে বসি, পঙ্ক্তিমালা টেনে আনি
মেঘ, রোদ, পাখি আর মানুষের মুখ থেকে, ওরা
কবি বলে আমাকেই, অথচ বলে না কেউ কেউ।