কবি ছোটে খিদে পেটে
এক বিস্ময়;এক লহময় গতিপথে কারা যায় হেটে
চেতনার ধ্বংসস্তূপ ক্রমশ হেসে ওঠে
মেতে ওঠে অবলীলায় জৌলুস বাসনা
অধরা নীতির কাছে পরাস্ত হয়ে যায় সব নীতিবান চরিত্র।
বক্ষাঘাত বিনিদ্র দেবতার গান শোনায়
মরে যাওয়া প্রাণ অকাল প্রার্থনার সঞ্চার দরবেশ সাজায়
অঘোষিত মনোমালিন্য তোমাকে জাগ্রত করবে একদিন
আমি নিশ্চিহ্ন পদছাপ রেখে গেলাম এই গতিময় জগৎপথে
বাসনাহীন তারারাও জেগে আছে নিশিদিন
এক আপন বৃত্তের বাইরে ঘূর্ণাবর্ত প্রতি মুহূর্ত
বৃত্তের এপারে এক সাজানো সংসার
জীবন যেন এক সাজানো পাতাবাহার।
অকস্মাৎ আগন্তুক কুয়াশারা ঢেকে ফেলে সব ইতিহাস
সব ইতিহাস আমাকে সরিয়ে নিয়ে যায় জীবন হতে বহুদূর,
মাঠের গায়ে একটা কবির ছবি আঁকা
গাছেদের ছালে কবিদের কথা বলা
তবু কেন নিশ্চিহ্ন আবহেও একজন নিঃস্ব কবির হেটে চলা?
এখনো মেঘের আকাশে উঁকি দেয় পুলকিত সূর্য
এখনো চলন্ত ট্রেনের গায়ে ঘুমন্ত পৃথিবীটা অনবরত ঘুরন্ত।
আমি নির্বাক কবি’
আমি পরাস্ত; আমি ক্ষান্ত;
আমি ক্লান্ত; আমি আজ শান্ত।