ঢ্যাং কুড়াকুড়্ বাদ্যি বাজে পড়ল ঢাকে কাঠি
শিবের গাজন হলো শুরু উৎসবে চল্ মাতি ।
বাঁশের মাথায় লাল পতাকা,গাজন তলার বাঁকে
আমার গাঁয়ের জয়ধ্বজা,ঐ দাঁড়িয়ে থাকে ।
হপ্তাখানেক চলবে এখন,আমার গ্রামের মেলা
সঙ নাচেরই বসবে আসর,বুড়ো শিবের তলা ।
দুপুরবেলা কাঠফাটা রোদ,বাবার ভক্ত যত
নীলের দিনে ডন্ডি কাটে,যে যার নিজের মতো ।
ভোলেবাবা সিদ্দি গাঁজা,আর ধুতরা ফুলে
সঙটি সেজে নাচছে কেমন,নেশায় হেলে দুলে।
বাঁশ খাটিয়ে আগুন জ্বেলে,তার উপরে দোল
হচ্ছে হেঁদোল বলছে সবে,”চন্দ্রচূড়” বোল।
আইসক্রিম খাচ্ছে খোকা,মুখটা যে তার ভারী
বায়না করে পায়নি সে যে,শখের রিমোট গাড়ি ।
নীলের বারে রাতদুপুরে ,নেত্য করেন কালী
গা ছমছম দৃশ্য দেখে,সবাই “জয় মা” বলি ।
কাঁটার উপর সন্ন্যাসীরা,খাচ্ছে গড়াগড়ি ।
কাঁচের চুরি পড়ছে খুকু,আহা মরি মরি !
বঁটি ঝাঁপ আর হরিরলুটে ,চড়ক পূজার দিন
সন্ন্যাসীরা ঢাকের তালে,নাচছে তা-ধিন-ধিন ।