শীত আসে, শীত যায়।
কারোর ঠোঁট ফাটে, কারোর বুক। প্রলেপের খোঁজ চলে দুজনের জন্যই..
গাছেরাও শুষ্ক হয়ে আসে, ওদের সবুজ যেনো ওদের মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে। পাতার রং ফ্যাকাশে হয়ে আসছে, তবুও ওরা স্বপ্ন দেখছে বসন্তের।
আসলে ওরা জানে, নতুন করে সাজতে গেলে আগে ঝরে পড়তে হয়, নিজের থেকেই।
শীতের দুপুরগুলো চবচবে করে তেল মেখে বসে থাকতাম ছাদে, মিষ্টি রোদের আদর যেনো ভোরের ঘুমের মতোই শান্তির লাগতো। রবীন্দ্র সংগীত চালিয়ে দিয়ে প্রেমিকা’কে নিয়ে কত ভাবনা, কত মুচকি হাসি, একরকম হারিয়েই থাকতাম। এক ঝাঁক পায়রা এসে বসতো একটু দূরেই।
মা-ঠাকুমা’রা বলতো, পায়রা শান্তির প্রতীক।
এ বছরও শীত এসেছে জাঁকিয়ে, কারোর ঠোঁট ফেটেছে, কারোর বুক। চবচবে করে তেল মেখে রবীন্দ্র সংগীত চালিয়ে ছাদে বসি, হারিয়ে থাকি, যদিও প্রেম নেই এ-বছর। পায়রাগুলোও আর আসেনা, আমি হাসতে হাসতে ভাবি মা-ঠাকুমার বলা সেই কথাটা, এখন বুঝি, হাসি মুখে মেনে নিই..
“পায়রা শান্তির প্রতীক”।