Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » আনোয়ারা সৈয়দ হক || Sankar Brahma

আনোয়ারা সৈয়দ হক || Sankar Brahma

আনোয়ারা সৈয়দ হক (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক)

আনোয়ারা সৈয়দ হকের জন্ম ৫ই নভেম্বর, ১৯৪০ সালে। তিনি হলেন একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক।

তিনি এম.বি.বি.এস পাস করার পর তিনি তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনী মেডিকেল কোরে লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সম্পূর্ণ নয় মাস তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা এয়ারবেসের মেডিক্যাল সেন্টারে তিনি চিকিৎসা করেছেন সৈনিকদের এবং তাদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের। ১৯৭৩ সালে তিনি বিমানবাহিনীর চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে কয়েকটি হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে দেশে এসে ১৯৮৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অধ্যাপক। ১৯৯৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে অবসর নেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত আছেন।

তিনি বেশ কিছু গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও শিশুসাহিত্য রচনা করেছেন। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার রচনায় মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলো তুলে ধরেছেন।

আনোয়ারার প্রথম ছোটগল্প ‘পরিবর্তন’ ১৯৫৪ সালে ‘দৈনিক সংবাদে’ প্রকাশিত হয়। ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-য়ের কচি কাঁচার আসরে লিখতেন। মাইকেল মধুসূদন কলেজে পড়াকালীন ‘দৈনিক আজাদ’, ‘মাসিক মোহাম্মদী’ ও ‘গুলিস্তা পত্রিকা’-য় তার লেখা গল্প, কবিতা প্রকাশিত হত। গুলিস্তা পত্রিকায় লিখে তিনি পুরষ্কৃতও হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন লেখালেখির পাশাপাশি তিনি কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এই সময়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম শ্রেণীর পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালে তার লেখা ছাপা হত। তার প্রথম উপন্যাস ১৯৬৮ সালে ‘সচিত্র সন্ধানী’-তে প্রকাশিত হয়। তার ‘সেই প্রেম সেই সময়’ ও ‘বাজিকর’ উপন্যাসে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বর্ণিত হয়েছে। ‘নরক ও ফুলের’ কাহিনী উপন্যাসে লিখেছেন তার ছেলেবেলার কথা। ‘বাড়ি ও বণিতা’ উপন্যাসে চিত্রায়িত হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের সামাজিক সমস্যা। উপন্যাস ছাড়া তিনি শিশুদের জন্য সাহিত্য রচনা করেছেন। ১৯৭৭ সালে ‘ছানার নানার বাড়ি’, ‘বাবার সাথে ছানা’ (১৯৮৬ সালে), ‘ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ’ (১৯৮৭ সালে), ১৯৯০ সালে ‘তৃপ্তি’, ‘আবেদ হোসেনের জোৎস্না দেখা’, ১৯৯২ সালে ‘হাতছানি’, ‘আগুনের চমক’ এবং ‘মুক্তিযোদ্ধার মা’ নামক শিশুতোষ গল্প ও উপন্যাসগুলি প্রকাশিত হয়।

উপন্যাসে অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। পারিবারিক জীবনে তিনি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সহধর্মিণী ছিলেন। এছাড়াও তিনি অনুসন্ধান কমিটি, ২০২২-এর সদস্য।

তাঁর দাম্পত্যসঙ্গী ছিলেন – সৈয়দ শামসুল হক ( ১৯৬৫ সালে জন্ম – ২০১৬ সালে মারা যান)
তাঁর সন্তান – বিধিতা সৈয়দ হক (মেয়ে), দ্বিতীয় সৈয়দ হক (ছেলে)।
বর্তমানে তাঁর বয়স ৮২ বছর।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থতালিকা

উপন্যাস
————————–

তৃষিতা (১৯৭৬ সাল)
সোনার হরিণ (১৯৮৩ সাল)
সেই প্রেম সেই সময়
বাজিকর
জলনুড়ি
তারাবাজি
হাতছানি
উদয় মিনাকে চায়
অস্থিরতার কাল, ভালোবাসার সময়
ভালোবাসার লাল পিঁপড়ে
নরক ও ফুলের কাহিনী
বাড়ি ও বনিতা
গা শিরশির (২০১১ সাল)
কার্নিশে ঝুলন্ত গোলাপ
সেই ভাষণটি শোনার পর
নিঃশব্দতার ভাঙচুর
তাম্রচূড়ের লড়াই
সেইসব দিন
যোজন দূরের স্বজনেরা
ঘুম
খাদ
আহত জীবন
আকাশ ভরা
দুই রমণী
নারী : বিদ্রোহী
সবুজ পশমি চাদর
ব্যবহ্নতা
আয়নার বন্দী
নখ
সন্দেহ
ঘুমন্ত খেলোয়াড়
রূপালী স্রোত
চেমনআরার বাড়ি


ছোটগল্প
————————–

পরিবর্তন (১৯৫৪ সাল)
পারুলীর উড্ডয়ন
হেলাল যাচ্চিল রেশমার সাথে দেখা করতে
গলে যাচ্ছে ঝুলন্ত পদক
অন্ধকারে যে দরোজা
মানসিক সমস্যার গল্প
শূন্যতার সাথে নৃত্য
গুজরিপঞ্জম
গ্রাম গঞ্জের গভীরে
পূর্ণিমায় নখের আঁচড়
সূর্য ওঠার গল্প


কাব্যগ্রন্থ
————————–

কিছু কি পুড়ে যাচ্ছে কোথাও
তুমি আগে যাবে, না আমি
স্বপ্নের ভেতর
তুমি এক অলৌকিক বাড়িঅলা
কাল খুব কষ্টে ছিলাম
আমার শয্যায় এক বালিশ-সতীন


প্রবন্ধ
————————–

নারীর কিছু কথা আছে
কিশোর-কিশোরীর মন ও তার সমস্যা
যেমন আমাদের জীবন
ক্ষুব্ধ সংলাপ (২০১১ সাল)
মেয়ে হয়েছি বেশ করেছি (২০১২ সাল)
তোমার কথা
পিকাসোর নারীরা


শিশুসাহিত্য
————————–

ছানার নানার বাড়ি (১৯৭৭ সাল)
বাবার সাথে ছানা (১৯৮৬ সাল)
ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ (১৯৮৭ সাল)
পথের মানুষ ছানা
একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে
আমাদের মুক্তিযোদ্ধা দাদাভাই
মন্টির বাবা
তোমাদের জন্য এগারোটি
উল্টো পায়ের ভূত
আমি ম্যাও ভয় পাই
আমি বাবাকে ভালোবাসি
হানাদার বাহিনী জব্দ
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ছড়া
ছোটখেলের বীর
যেমন আমাদের জীবন
সর্পরাজের যাদু
আমার মা সবচেয়ে ভালো (২০০৮ সাল)
তুমি এখন বড় হচ্ছো
টুটুলের মা-গাছ
উদাসী বালক
তপনের মুক্তিযুদ্ধ
কাঠের পা
আগুনের চমক
দশ রঙের ছড়া
মুক্তিযুদ্ধের পাঁচটি উপন্যাস


অনুবাদ
————————–

ল্যু সালোমে : সাহিত্যভুবনের অগ্নিশিখা (২০১২ সাল)


স্মৃতিকথা
————————–
অবরুদ্ধ


ভ্রমণকাহিনী
————————–
উড়ে যাই দূরে যাই


তাঁর প্রাপ্ত-পুরস্কার ও সম্মাননা
——————————————

ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক – ২০১৯ সালে।
উপন্যাস শাখায় নৃ প্রকাশনী থেকে ছানা ও নানুজান-এর জন্য পাঞ্জেরী ছোটকাকু আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার – ২০১৯ সালে।
উপন্যাসে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার – ২০১০ সালে।
কবীর চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার – ২০০৬ সালে।
ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার – ২০০৬ সালে।

অন্যান্য সাহিত্য পুরস্কার
————————————

মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার
শিশু একাডেমি পুরস্কার

—————————————————————
[ সংগৃহীত ও সম্পাদিত। তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া ]

“আনোয়ারা সৈয়দ হক”। বিডিনিউজ

টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৩রা জুন ২০১৭ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

৭ই অক্টোবর ২০১৬ সালে “কবিতার মঞ্চে স্মৃতিচারণায় সৈয়দ হক”। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ – ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

“Anwara Syed Haq”। পরবাস। সংগ্রহের তারিখ – ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

“বাংলা একাডেমী পুরস্কার ঘোষণা”। দৈনিক প্রথম আলো। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল।
২০১৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ – ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

“একুশে পদক ২০১৯ পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক”। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ – ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

কৈলাস সরকার (সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬ সাল)। “হাসপাতালে শুয়ে-বসে বলছেন সৈয়দ হক, লিখছেন আনোয়ারা”। পরিবর্তন। ২১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ – ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

“আনোয়ারা সৈয়দা হক”। যশোরইনফো। সংগ্রহের তারিখ – ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

তকীর হোসেন (৮ইমার্চ ২০১০ সাল)। “INTERNATIONAL WOMEN’S DAY SPECIAL – Anwara Syed Haq: The experimenter and innovator”। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ – ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

“আনোয়ারা সৈয়দ হকের ‘অবরুদ্ধ’ ও সত্যভাষণের শিল্প”। সংগ্রহের তারিখ – ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল।

“PROFESSIONAL BIOGRAPHY”। আনোয়ারা বেগম। ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ – ২৮ অক্টোবর ২০১৬ সাল।

“Indigo ICT Partner Profiles”। ইন্ডিগোটেকবিডি। ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ – ২৮শে অক্টোবর ২০১৬ সাল।

“একুশে পদক পাচ্ছেন ৭ নারী”। দৈনিক যুগান্তর। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ – ২৯শে মার্চ ২০১৯ সাল।

“পুরস্কার পেলেন পাঁচ বরেণ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান”। দৈনিক প্রথম আলো। ২৪ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ – ২৯ মার্চ ২০১৯ সাল।

“বাংলা একাডেমী পুরস্কার ঘোষণা”। দৈনিক প্রথম আলো। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল। ২০১৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ – ২৯শে মার্চ ২০১৯ সাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *