আমার এই কবিত্বকে আমার সকল আত্মীয়রা মেনে নিতে পারছে না জানি;
তাদের কাছে টাকাকড়ি ধনদৌলত সামাজিক সম্মান–
খুব সহজেই ধরা দেওয়া সত্ত্বেও কেন এমন করছে তা নাহি জানি,
মিথ্যে আর স্বার্থের দলিল লেখা আমার দ্বারা হয়না একথা সত্য
হয়তো তাই আমার নামের পাশে কালিমা ছড়াতে তাঁরা হচ্ছেন বিব্রত।
আমি কোনোকালে স্বতন্ত্র থাকিনাই তাহাদের মন্তব্যের ভিড়ে
তথাপি সেই পরিজনদের সন্ত্রাসী মনোভাব আর দাঁতখিচুনি আমাকে খাচ্ছে ছিঁড়ে,
আমি মুহূর্তের শর্তের কাছে অবিচল অনর্গল
হয়নি বিচারের নিষ্পত্তি কুৎসারা সদাহাস্য করে চলাচল।
মুখ চেপে ধরে কলমের ভাষাদের
কলমের সাথেসাথে গোলাম হয়েছি ;করেছি ব্যক্ত মর্মের,
আমার জন্ম আর কর্মের জন্য কি শুধু আমিই দায়ী?
জানিনা আমি; জানে সময়,
হ্যাঁ, তাইতো বলছে আমার মহামান্য আত্মীয়েরা সবাই।
আমার নিঃস্ব নৈমিত্তিক জীবন থেকে পারিনি শান্তনার মালা পড়াতে তাঁদের
তারা ভালোবাসার দড়ি ছিঁড়ে ফেলে
তাহাদের পরিচয় ক্ষতবিক্ষত করিয়াছে আমায়
উড়ন্ত বাতাসে উলঙ্গ জীবনের হিংসাগুলো বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়।
ভাগ্যটাকেও কেড়ে নিতে আসে ঐ অনভিপ্রেত অভ্যুদয়
অগ্নির জ্বলন্ত ঢেউ হয়ে ছুঁতে আসে কেউ কেউ
আমি অপরাধী হয়ে উঠি ক্রমেক্রমে তা বোঝেনা যে কেউ।
আত্মার কাছে এসে সুর খুঁজে দেয়নি কোনো শান্ত ভূমির
তারা করিয়াছে তালাশ নালিশের বালিশে আমি আর তুমির।