ভাই আমার বোন আমার আত্মা চলো যাই
ঘর বাঁধি
মানুষে জন্মাই
মৈত্রী,
মমতার হাওয়া!
ভাই আমার বোন আমার ব্যথা চলো যাই
জাজ্জ্বল্যে জ্বালাই আলো,
কোথায় তলালো ওরা
চক্ষু মেলে চাই,
নাড়া বুনি,
খড়চালা
সাজাই গাথুনি,
এক যোগে শুনি
মোরগের বাক,
দীপ্তি সংরাগ যত,
অস্তমিত সূর্যের–শস্যের,
ফুটে আছে ঢের অতীতে কতনা!
ভাই আমার বোন আমার ঊষা চলো যাই
ব্যথিত এষণা!
ঐ দেখো ফ্যাক্টরীর ফুল
লোহা ও মাস্তুল
জটা দড়ি, পেরেকে বর্তুল
ঘামশ্রম, মানুষের ব্যাধি
অন্তর্ঘাতময়
ফুটে আছে কতনা প্রত্যয়
কত বোধি বুকের ভেতর
বোনে চট,
বোনে সমুদয়
ছুরি, লোহা, রক্তের জবাই!
কত না সে সুবেশী কসাই
কত রুদ্র জামা,
বিদ্রোহের ঠাঁই
কামিজে ও কনুইয়ে ছোবানো
মেঘে মেঘে
হয়ে গেলো ছাই!
তবুও তো ভাই
এই রক্তে এখনো সুস্থির
কত কিছু আছে–
ঊষার লহর নদী
হাওয়া, প্রান্তর
পৌরুষের স্বাধীনতা
প্রণয়ের ঘর
যা হারালো তাই!
ভাই আমার বোন আমার আত্মা চলো যাই
জাহাজে ভাসাই নদী
উড় উড় সমুদ্রের হাই,
চলো যাই।