কামদুনির প্রতিবাদী ছিল মাওবাদী
পার্কস্ট্রীট কান্ডে ধর্ষিতা চরিত্রহীন,
হাঁসখালির নাবালিকা প্রেমে অন্তঃসত্ত্বা
দিদিমনির বাক্য অপ্রতিম।
এ রাজ্যে ধর্ষিতার হাল যে বেহাল,
দিনে দিনে প্রমাণিত তাই।
যত দোষ নারীদের নষ্ট করে পরিবেশ,
পুরুষের তেমন দোষ নাই।
রাজ্য চালান দিদিমনি নিধানের শিরোমণি
কি অদ্ভুত ওনার বিচার!
দুর্নীতির তালেবরে বরাভয় দেন আঁড়ে
প্রশ্রয় দিয়ে যান বারে বার।
ধর্ষনের এ কি সংজ্ঞা “নাবালিকা প্রেমে অন্তঃসত্ত্বা”
বেআব্রু আজ নারীর লজ্জা
যত আছে বুদ্ধিজীবি হায় আজ পরজীবি
হারিয়েছে সব মানবসত্ত্বা!
এ তো জমি কর্ষণ কেন বলো ধর্ষণ,
এমন তো রোজই হয় কত সব।
নথি বিহীন শবদাহ মরি হায় বাহ্ বাহ্ ,
এ রাজ্যে আজ সবই সম্ভব।
আহা কিছু দুষ্টু ছেলে পথে ঘাটে বেড়ায় খেলে,
দুষ্টুমি করে কখন সখন।
নাবালিকা করেছে ভুল তাই ফোটে গণহুল,
বলো তারে কেন গণধর্ষণ!
থাকো যদি ছাতা তলে ভীড়ে যাও সঠিক দলে,
সাতখুন মাপ হয়ে যাবে।
ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারো যত পারো থ্রেট করো
ঘাঁটাবে না পুলিশ তোমায় তুমি পার পাবে।
কেতাদুরস্ত কাগজেরা বিজ্ঞাপন পায় যারা,
মেপে প্রেম গল্প ছেপে দেবে।
এসব বলতে মানা হীরকনীতি সবার জানা,
সেজে পুলিশ প্রাণ কেড়ে নেবে।
সাধারণ মানুষ অসহায় মূক হয়ে সব সয়
প্রতিবাদ করতে পায় ভয়।
গ্যাংরেপ হলে হোক ভয়ে কাঁটা গিলে ঢোক
সব বুঝে চুপ করে রয়।