অফুরন্ত আলোর ঝর্ণায় প্লাবিত বসুন্ধরা,
চারিদিকে বিচ্ছুরিত আতসবাজির হাজারো রোশনাই অরূপ ঝলকে ঝলসে দিচ্ছে চরাচর,
অথচ,সেই আলোকে স্নাত হয়েও গুমরে গুমরে করুণ কান্নার অস্ফূট গুঞ্জন বসুন্ধরার পাঁজর ভেদ করে বেড়িয়ে আসছে,
এ কান্না বসুন্ধরার আনাচে কানাচে অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ভ্যাপসা এঁদোগলির খুঁজে মুখ গুঁজে পড়ে থাকা ভাগ্যের চাবুকে ক্ষত বিক্ষত মানুষের কথা,
ছিন্ন জামা গায়ে নিরন্ন শিশু যেখানে রোগা ভোগা মায়ের শুকনো স্তনে মুখ দিয়ে বাঁচার রসদ খুঁজতে মরীয়া,
যেখানে দিনের আলো প্রবেশের পথ খুঁজে পায় না,
সেখানে আলোর যোগান আসবে কোত্থেকে!
জীবন যেখানে মূমূর্ষূ,পঙ্গুর মতন যাপন যাদের নিবিড় আঁধারের বসতে,
যেখানে,বেঁচে থাকার প্রতিটি পল টিকে থাকার লড়াই ,
সেখানে,
বসুন্ধরা মাতার বিষাদ ঘেরা চোখে নীরব বেদনার অলিখিত দাস্তান কেইবা বোঝে!
বসুন্ধরা তো চায়,সবাই ভালো থাকুক, আলোয় সুখী জীবনের আঙিনায়,
কেউ কি আছে বসুন্ধরা মাতার এ বেদনাভার লাঘব করার?
আছে কি তেমন কেউ যে আলোর বাতি হাতে এসে দাঁড়াবে এই সব আঁধারের পাঁকে পড়ে থাকা বস্তির এঁদোগলিতে আলোর রোশনাই জ্বেলে দিতে?
শিক্ষার পথ থেকে যোজন দূরে পিছিয়ে থাকা মানুষদের একটু জ্ঞানের আলোয় নিয়ে আসতে?
তবেই হয়তো বসুন্ধরার তীব্র মনোব্যথা লাঘব হতে পারে,
তবেই হয়তো বসুন্ধরা বিষাদ কালিমা মুছে প্রশান্তির আলোয়
উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে পারে আঁধারের কান্না ঘুচে যাবার অমল তৃপ্তিতে।