জন্মেছিলাম দ্বিপদী হয়েবিধাতারই রোষেআজকে ত্রিপদী বটেহয়তো ভাগ্যদোষে!টু হুইলারের লাইসেন্স নয়থ্রী

লকডাউনে ক্লান্ত হয়েমোনালিসা শেষেছবির ফ্রেমে পা টি তুলেরিল্যাক্স করে হেসে!

পয়সা দিলে নারীর শরীরপাব সে তো জানিমনের হদিস হায় পাবোনাসেটা

বালির কণায় বিশ্বেরে পাও,স্বর্গ জংলী ফুলেঅপরিসীম যে আপন করেইঅসীম সে

তখন মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশেজওয়ানরা লড়ছে প্রাণের পন,আকাশবাণীর থেকেই প্রচারিত,” সংবাদ পরিক্রমা”র

সুরেই থেকে,সুরেই রেখে,আমার মতন তালকানাদের,ধৃতরাষ্ট্রসমই অন্ধ যারাগান্ধারী(গান + ধারী)দাওদৃষ্টি মোদের!

১৯৬৫ সালে –গোলেমালে গোলেমালে,মা মোর গেলেন হাসপাতালে,আমার জন্ম হয়!গোলেমালে গোলেমালেইআমার

ইলিশের স্বাদে বাঙালের ভোজপাতেতে পড়লে হয় ভুরি ভোজরসনাতৃপ্তি যে ভাবেই

নাম ভালো বলতেই রাক্ষস বটে –ওই গণ সে রটনাতে “অরিন্দম”

যখন তোর মনটি ব্যাকুল হয়?শঙ্কা চাপে, মনে আসেনানরকম ভয়?তখন তুই

সে ছিলো এক শৈশব গো-অনেক সুখের, দামী!আজকে আমার সুখ কমেছেকারণ

ঘরের মেয়ে ফিরছে ঘরেহতে গৃহবাসীবসন্তেরই সুবাসটুকুআনছে বয়ে খাশ ই!আটকে ছিলো

“গিরগিটি”রা বলে মোরাহেরেই গেছি আজ!মাথার থেকে সরলো বটেরং বদলের তাজ!রাজনেতা

আমি চিরদিনই করি সৃষ্টিতবু আমি নারী অনাসৃষ্টি!আমি পূজিতা রূপেই শক্তিতবু

আইজাক নিউটনমাধ্যাকর্ষণবের করলেন বড্ড যে দেরিতেলাগতো না তারআপেল গাছ আরসব

সংস্কৃতের ছাত্র সে একসুধায় পণ্ডিতেরে,“ব্যাখ্যা করে দিন না আমায়এই শ্লোকটিরে!

সুনীল শক্তি নিয়ে আজ হায়বাজে কোথায় হা শঙ্খ?সংস্কৃতির ধ্বজা যে

কবিতার পিছে ছুটিনি যে আমিভালোই বেসেছি বটেএ থেকেই মোর কাব্যের

আত্মা যদি শুদ্ধ থাকেবিবেক পরিষ্কারআত্মপরিচয়ের সত্যিথাকে না দরকার!কিন্তু যদি শঠতাতেইউপকার

আমি কবি ভাই, ভালোবাসা দিয়েভরেছি পৃথিবী তাই –আমি কবি বলে

বাঙালি বন্ধু, দেখা হলো মোরবহু বৎসর বাদেসুধানু কুশল, “চা খেতেই

তোমারেই হেরি যতেক কবিরকাব্য যে ঝরে পড়েতোমারেই হেরি যতেক ”

পূজার আগে হঠাৎ এইগণেশ গেলোই পাল্টেডিভাইডারে ধাক্কা মেরেবাস গেলো প্রায়

দরশন প্রায় সাত বছর আগের কথা। গতযৌবনা আষাঢ় মাসের এক

জীবন যেন মহাভারতমানব দেহর ছলেএই কথাটাই এবার আমিবোঝাচ্ছি সেই বলে!

ছিলো রকে বসে আড্ডা দেওয়াক্রিকেট নিয়ে কথাকেন ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়ারইহেরে যাওয়াই

মেঘকে রাজা দিলেন বেচে!সেই কথাতে সকল চাষি,রাজার ওপর গেলেন ক্ষেপে।।কিন্তু

সাতান্ন বছরের এ পেটুক কবিসাতান্ন পদ খেয়ে করুণ এক ছবিসাতান্ন

এটাই হলো মদ্দাকথা জীবনটারইচিরটাকাল কেউ থাকে কি নবজাতক?যা থাকে সে

জ্যোতিষচর্চা জ্যোতিষচর্চাতারাই গোনা যত –অমুক যোগে তমুক দশাগুনছি আমার মত!

চোখের পরে চোখ রাখলেঠোঁটের ওপর ঠোঁট এএমন কথা পড়লে মনেকষ্ট

রাজা দশরথ যবে ত্যাজেন ধরাধাম।পিণ্ডদানে গয়া যান লক্ষ্মণ ও রাম।।সেথা

বলতে পারেন হুতোম প্যাঁচারকয়টা ছিলো টিকি?কেমন একটা হেঁয়ালি সেদিলাম বলুন

ঊমা আসিতেছে মাগো বরষ পরেগিরিরাজগৃহে তাই আনন্দ না ধরে!বলদে চড়িয়া

দোলে ভূত সাজি না গোবর্তমানেইসাজাবার প্রয়াসেইদিন কাটে সেই!রঙ ছিলো ঢং

সম্ভাষণে শব্দহীনাকরলো ধরিত্রীরে মূকতাই তো বৃষ্টি সাথে প্রেমেরইলো যে তার

মন ও হৃদয় ছুঁয়ে যে যায়শব্দবন্ধে অনেক কথা!না বলা তো

হয়তো আমার ঘুম কমেছেস্বপ্ন দেখি কম,নিশ্বাসেরই কষ্টে, রাতেআটকে আসে দম!“দম

আমার বুকে যত সাহস?তোকে দিলাম।।আমার যত বলভরসা?তোকেই দিলাম।।আমার নিজের বাঁচার

আমার শিরায় বইছে রক্তপ্রতিবাদী সিলেটিরআমার মন যে গায় ভাটিয়ালিসুরমা নদীর