অনেক সত্যি গল্প হয়ে মুদ্রিত হয়-
মনের ধূসর,ম্লান পাতায়।
তুমি আজও শুধু কলম হয়েই রয়ে গেলে,
মলিন কালচে খাতায়।
তোমার গায়ের ঘাম খুবলে খায় মধ্যাহ্নের দুপুর
ডানা ঝাপটায় আমার ভাঙ্গা ডানা।
ঝামা ভাঙ্গ ক্ষুধার্থ হাতুড়ির আঘাতে -আঘাতে,
তোমার নিটোল বুক দেখতে মানা।
অমাবস্যার কারা, শিকল পড়ায় ওদুটি চরণে,
অব্যক্ত সত্যের অঙ্গার তুলে ধরো কলমের আঁচড়ে।
আমি ভরা মাঠে নীরব দর্শক চেয়ে থাকি ,
লজ্জ্যাবনত শতাব্দী লুকায় তোমার কোঁচড়ে ।
এ নশ্বর দেহ চিতা খোঁজে সাড়ে তিনহাত জমি,
বৈতরণী নদীর উভয় পারেই বেলাশেষের হাতছানী।
তোমার তরণী নোঙ্গর ফেলে স্তব্দ পরপারে,
ভঙ্গিল হৃদয়, প্রেমহীন ব্যর্থতায় তুমি কি অভিমানী ?
একটা চাঁদকে নাইবা টানাটানি করলে,
থাকনা আকাশের গায়ে,অবরুদ্ধ প্রেম থাকুক মনে।
এসো তমসের বারান্দায় জ্যোৎস্না মেখে-মেখে-
একদেহে বিলীন হই,সব নিরর্থক আত্মজ কাননে।