মিরাকেলের অপেক্ষায় আপমর ভক্তকুল
যবনিকাপাতের ছায়ায় জগৎ আকুল
রোগশয্যায় শুয়েও বললে ফাইট ডাক্তার
চিকিৎসকেরা করলেন পরপর অস্ত্রোপচার।
শত চেষ্টায় রবিবার শেষ রক্ষা হল না আর
পনের নভেম্বর হৃদস্পন্দন থেমে গেল তার
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাজলো বিষাদ সুর
নেই ঠিকানার দেশে ক্ষিদ্দা আজ বহুদূর।
মৃত্যুর সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে তিনপাত্তি খেলা
চল্লিশ দিন ধরে হাসপাতালে কাটে বেলা
এমন সময় স্মৃতির পাতায় বৌঠান চারুলতা
‘তোমায় চিনি গো চিনি’ অমল চরিত্র অভিনেতা
‘জীবনে কি পাব না ভুলেছি সে ভাবনা’
কোভিড নাইন্টিন তোমায় ছাড়ল না।
যে তুমি মেমারী গেম জিতে নিয়ে
ফেলুদা হলে গোয়েন্দায় হাত পাকিয়ে।
বুঝেছিলে দিতে হবে সমান সময়
একশন কাট আর দৃশ্যন্তরে
দ্বায়িত্বে ছিলে ইক্ষনপত্রিকার সম্পাদনায়
ক্যানভাসেও কখনো দিতে রং ভরে।
লিখলে নাটক ও করলে কিছু অনুবাদ
পরিচালনার কাজও পরেনি তোমার বাদ
তোমার সকল চরিত্র বাঙালির হৃদয় শিখরে
বেলা শেষে হোক বেলা শুরু তৃপ্তমন চিরতরে।
অভিনয় জীবনের প্রথম ছবি অপুর সংসার
শবগাড়িতে বন্দী আজ তুমি মঞ্চের কিং লিয়ার
‘অভিযান’ জীবন ভিত্তিক শেষ ছবি তোমার
বন্দী আজও উদয়ন পন্ডিত হৃদয়ে সবার।
অসাধারণ তোমার সব অভিনয় চরিত্র
আতঙ্কে মাস্টারমশাই প্রতিবাদী সৌমিত্র
ছাত্র ও সমাজ সংসার আজও বড় বিচিত্র
অপরাজিত উজ্জ্বল নক্ষত্র তুমি ফেলু মিত্র।