
ঊনআশি নম্বর বাড়ি || Atin Bandyopadhyay
ঊনআশি নম্বর বাড়ি —কত নম্বর বললেন? —সেভেনটি নাইন। মানে ঊনআশি
ঊনআশি নম্বর বাড়ি —কত নম্বর বললেন? —সেভেনটি নাইন। মানে ঊনআশি
জীবন-সত্য সমর ভগ্নিপতির চিঠি পেয়ে চলে এসেছে। চিঠিটি এ-রকমের—বাড়ির সম্পত্তি
হা অন্ন সুমার মাঠে লোকটা দাঁড়িয়েছিল। চুল উস্কখুস্ক। গালে কতদিনকার
নদী, নারী, নির্জনতা আজকাল প্রায়ই তাকে কেউ নীল খামে চিঠি
বাতাসী বাতাসী চোখ তুলতেই দেখল, কিছু গাছের জঙ্গল এবং পরে
যথাযথ মৃত্যু কালটা শীতকাল ছিল এবং সম্ভবত বখের আলী শিরীষ
চীনেমাটির পুতুল শেষরাতে তিনি আজও কান খাড়া করে রাখলেন। কে
ভুখা মানুষের কোনো পাপ নাই সাধুচরণের সুদিনের মুখে টেপি যদি
হরিচরণবাবু ঈশ্বর যখন আছেন, তখন ভূতও থাকবেন। হরিচরণবাবু আমাকে এমন
স্বর্ণমুকুট শনি, রবিবারই তার পক্ষে প্রশস্ত সময়। শনিবারেই প্রিয়তোষ অফিস
স্বপ্নবৎ শৈশবে সাঁকো পারাপার ছিল আমাদের প্রিয় খেলা। অবশ্য শৈশব
সাদা বিছানা সুদক্ষিণা মুখে ক্রিম ঘসছিল। জানালা খোলা। চৈত্রের ঝড়ো
শত্রুপক্ষ সকালেই অরূপার গলা পাওয়া গেল। সে কী যেন বলছে।
রেলগাড়ি ঝিক ঝিক সে সিঁড়ি ধরে নেমে এল। টিপ টিপ
রাজার টুপি জলের মতো রঙ ছিল সেদিন আকাশের। সুরমা বিছানায়
মৃত্যুচিন্তা বয়সটা তাঁর বড়ো খারাপ প্রিয়তোষ বোঝেন। এই বয়সে একা
মীন রহস্য নিরাময়দাকে কিছুতেই রাজি করাতে পারছিলাম না। তাঁর এক
মাশুল সম্পর্কে জোটন বিবি আবেদালীর দিদি হয়। কিছুদিন পূর্বে পর্যন্ত
মানিকলের জীবনচরিত এতক্ষণে সে নিশ্চিত হল। ঘাম দিয়ে ওর জ্বর
মণিমালা তপোময়ের লেখালিখি মাথায় উঠেছে। কিছুই লিখতে পারছেন না। কিছুটা
ভাগু চিরুনিটা আর খুঁজে পাওয়া গেল না। মুখ ব্যাজার নীতির।
বৃদ্ধ ও প্রতারক তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না। আজকাল
বুলুর শেষ লুডোখেলা সিঁড়িতে পা দিতেই অমলেশ টের পেল বিজু
বিপ্রটিকুরী যাত্রা বিপ্রটিকুরী যাত্রা নিয়ে বাড়ি গরম—সকাল থেকেই কথা বললেই
বিদ্যুৎলতা আমাদের দেশকালের এবং জীবনযাপনের যাবতীয় দৃশ্য উল্লেখ করা দরকার,
বাগানের তাজা গোলাপ আজকাল কোনো অনুষ্ঠানে আমার যেতে ইচ্ছে হয়
বয়ঃসন্ধি জগদীশ পাঁচটা না বাজতেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন। খড়ম
ফুলের বাস গল্পের কোনো কোনো চরিত্র আমাকে কুহকে ফেলে দেয়।
ফুল ফলের জন্য জানালা খুলতেই রোদ এসে পড়ল ঘরে। শীতে
প্রাণের সাড়া নীচের বারান্দায় কারা কথা বলছে, এত সকালে কে
প্রহসন বয়স যত বাড়ে মেজাজ তত তিরিক্ষি হয়ে যাবার কথা।
পৃথিবী তারপর শব্দগন্ধহীন ছুটির দিনে সুবিনয় অন্যরকমের। অন্য দিনগুলোর মতো
পাখির বাসা কদিন ভ্যাপসা গরমের পর সকালের দিকে বেশ বৃষ্টি
নিজের দেশে ম্যান্ডেলা যেন কতকাল হয়ে গেল, ম্যান্ডেলা ঘরবাড়ি ছেড়ে
দেবী দর্শন আজকাল টের পাচ্ছি, জীবনের সব বিস্ময় কেমন ক্রমে
থার্ড ক্লাস জহর দাঁড়িয়েই আছে স্টেশনে। টিকিটের ঘণ্টাও পড়ে গেছে।
ট্রেন বে-লাইন হলে স্কুল ছুটি হয়ে গেছে অথচ সে ফিরে
টেলিপ্রিন্টার সে প্রথমে একটা হাই তুলল। তারপর এক গ্লাস জল
টিউলিপ ফুল কার্ডিফে আমরা বিশ-বাইশ দিন ছিলাম। নাকি তারও বেশি।
টটনের কুকুর টটনের বাবা খুব গরিব। কিছু জমিজমা, পুকুর ছাড়া
ঝুমির দুঃখ সকালবেলায় যে কী হয়, কিছুতেই ঘুম থেকে উঠতে
জলচোর মেয়ে দুটো যায় কোথায়? কে জানে কোথায় যায়। তামাটে
চিনেমাটির পুতুল শেষরাতে তিনি আজও কান খাড়া করে রাখলেন। কে
গির্জার সিঁড়িতে সারারাত আমরা আশা করছিলাম জাহাজ এবার দেশে ফিরবে।
গন্ধ কলকাতায় আবার বৃষ্টিপাত আরম্ভ হয়েছে। রাস্তাঘাট এবং সব সবুজ
কুসুম শুয়ে আছে তার অন্ধকার ঘরে বছর পঁচিশেক আগে গায়গাটা
কাল-ভুজঙ্গ নিশি ফিসফিস করে ডাকল, সোনামণি, অ সোনামণি। সোনামণি কোনো
কাঠপিঁপড়ে বিশ্বরূপ আজ মোট উনিশটি কাঠপিঁপড়ে নিধন করে …ধরের দরজার
কাকচরিত্র বড়োই বিপাকে পড়েছি হে। ঘিলুতে লোকটার এই একটা কথাই
কপালি কপালি থেকে গেল। কপালির বাপ কালীপদ বলেছিল, বাবু ভালোমানুষ।
এখন ফোঁটার সময় কোনো কোনো দিন কাকে যে কীভাবে মুখর
এক হাত গণ্ডারের ছবি চার্চের ঠিক সামনে এক পাগল। সে
এক লণ্ঠনওয়ালার গল্প সেদিন আমার সহকর্মী এসেই বললেন, কী, আপনার