বিশ্ব দেখে চমকিত ভাষা আন্দোলন ,
চেতনায় জেগে ওঠে নব জাগরণ ।
ছাত্র , যুব , সাধারন মানুষের ঢ়ল –
ঢ়াকা থেকে খুলনা একতার বল ।
মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ অনুভবে সবাই
তেড়ে এল পাকসেনা করলো জবাই ।
উর্দু নয় বাংলা ভাষাই রাষ্ট্রভাষা হবে –
সেদিনের বিদ্রোহ স্বর্ণ লেখায় রবে ।
পাষনের গায়ের সব শ্যওলা তুলে-
চেয়ে দেখ সবার চোখের ঠুলি খুলে ,
ইতিহাসে জমাট বাঁধা রক্তের লেখা –
ভাষা শহীদের বিপ্লবের গুপ্ত কথা ।
বাহান্ন সালের একুশের ফেব্রুয়ারী –
ঢ়াকা শহরে শুরু হল কার্ফু জারি ,
ঢ়াকা মেডিকেলের জনাকীর্ণ রাস্তায় –
চলল গুলি , উপচালো লাশ বস্তায়।
রাতজাগা দেশপ্রেমিকের যত প্রান-
দিগন্তে দিল মাতৃভাষার আহবান ,
এ যেন নিশ্চিত বিদ্রোহের রনভেরি –
চলছে মিছিল , ধিক্কার ,প্রভাত ফেরি ।
ভাষাপ্রেমি বরকত,রফিক,জব্বার –
ও সালাম গুলিতে করল আত্মদান,
পাক জল্লাদ নররক্ত করলো পান ।
তাই তো মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী –
জীবনে মরনে কখনো ভুলতে পারি ?
স্মরণে,বরণে দুইবঙ্গ ভরে আজ –
অশ্রুভরা বুকে ঝলসায় কালো ব্যজ ,
ভাষা দিবসে লক্ষ কন্ঠের পথ ফেরি –
” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে
ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলতে পারি …”
একুশের বইমেলা, কবিতা ও গদ্যে –
মাতৃভাষা প্রান পায় কান্না,গান, ছন্দ্যে ।
ছুটে আসে দিগন্ত আকুল সারা বিশ্ব –
” ভাষা দিবস” সম্মান দিলো ইউনেস্কো।
ইতিহাসের পাতাগুলো রক্তে রাঙান –
অতি আধুনিক খুলে দেখে কি কখনো ?
অপসংকৃতি , আর বাড়ে অধার্মিক
হিংস্রতার বিস্ফারন , হাসে দাম্ভিক ।
মাতৃভাষা উপেক্ষিত, ইংরেজি স্বপ্নীল
কেঁদে চলছে ভাষা দিবসের মিছিল,
উদাসীন ,নীতিহীন বিবেক শিথিল ।
যেদিকে চাও,শুধু অর্থের প্রলোভন-
নির্লজ্জ বেআব্রু দেহ , নগ্ন আস্ফালন।
কাঁটারবেড়া ভেঙে আজও ছোটে মন ,
এক করে ভ্রাতৃত্তের ভাষা আন্দোলন ।
শহীদের রক্ত কখনো ব্যর্থ হবার নয় –
বিশ্বজোড়া স্থান তাহার – বাংলার জয় ।
” জীবনে-মরণে ভাষা শহীদ স্মরণে –
হে বীর তোমাদের কখনো ভুলছি না,
ফুল-মালায় ,অশ্রুনয়নে ,নেবো বরণে-
বসন্তে থাক ভাষা স্বরাজের কামনা।