খবরের কাগজের পৃথিবী আর ভোরবেলার আকাশের নীচে পৃথিবী
এক নয়
আমি কোন্ পৃথিবীতে বেঁচে আছি?
চোখ বুজলেই দেখতে পাই একটি সুদীর্ঘ, নির্জন তরুবীথি
সে রকম রাস্তা কবে অদৃশ্য হয়ে গেল
এখন বাঁকে বাঁকে আততায়ী
সকালে শিশুদের ঝলমলে, শুভ্র, চিরকালীন হাসি শুনতে পাই
দুপুরের হিংস্র রোদে সব মিলিয়ে যায়…
ভেবেছিলাম, সুন্দরের আরাধনা ছাড়া এ জীবনে আর কিছুই কিছু না
তার এত ছদ্মবেশ, যখন তখন দৃষ্টিবিভ্রম!
ঘুম ভাঙার পর চায়ের তৃষ্ণায় ছটফট করি, না খবরের কাগজের জন্য?
আকাশ দেখি না
অথচ সেই অজস্রদল পদ্ম যেন দেখছে আমাকেই
দৈবাৎ একদিন চোখাচোখি হতেই কেঁপে উঠেছিলাম
মনে হয়েছিল
জানলা খুলে ঝাঁপ দিই
অপবিত্র, রক্তমাখা মাটি ছেড়ে চলে যাই মাধুর্যের স্রোতের দিকে
যাওয়া হয়নি
হে মরুভূমির শ্রান্ত, সহ্যের শেষ সীমার পথিক
একবার কি বৃষ্টি নামবে
তুমি পৌঁছোতে পারবে দিগন্তের রেখার ওপারে?