Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » সুজলাং সুফলাং একজিট পোল || Subodh Sarkar

সুজলাং সুফলাং একজিট পোল || Subodh Sarkar

এসো পান, এসো পাত্র, এসো মুখ, ধরো
এসো বীর, এসো ভোগ্যা, এসো ভোগ করো।
তুমি না করিলে ভোগ ওরা দেবে উলু
রাষ্ট্র বাঁচে যদি বাঁচে হাতকাটা দুলু।
এসো চন্দ্র যাও বাবু এসো হতাহত
এসো বজ্র, মহাদ্রুম, দলিত অক্ষত।
হাতে হাতে মোবাইল, ধানক্ষেতে হুস্
বেহুলা বোতলসম কলেজে বেহুঁশ।
বাজে কথা বলছেন: বোতল নির্দোষ
বোতল করে না পান, করে আপসোস।

এসো কীর্তি, এসো নাশ, যাও অনশন।
এসো বন্ধ, খোলো দ্বার, শত কারখানা
এসো বর্ম, এসো ব্যাঙ্ক, বুর্জোয়ার খানা।
এসো বীজ, এসো ধান, এসো মা মৃত্তিকা
ধানক্ষেতে শুতে এসো প্রোষিতভর্তৃকা।
যে দেশে কৃষক আজ আত্মহত্যা করে…
আজ থাক ইস্যুটাকে তোলা হবে পরে।
এসো তেল, এসো অগ্নি, পেট্রোলিয়াম
রেশন কার্ডের লোভে জন্মেছিলাম।

দাও পুত্র, ঢালো বিষ, মধুপাত্র শেষ।
যাও ধর্ম, জাতে ওঠো, যাও জল অচল
চণ্ডাল লিখুক কাব্য বিন্ধ্য হিমাচল
যাও থুতু, যাও বিষ্ঠা, যাও ক্যাবিনেট
ভুল অর্থনীতি যাও ঋণং পিবেত।
এসো ধান এসো দূর্বা, লক্ষ্মী নীলাম্বরে
কেন রে বাস্টার্ড, চাষি আত্মহত্যা করে?
সুরম্য হর্ম্যরাজি চলে ককটেল
ভারতবর্ষ তোলে খাবার অঢেল।
চলিতেছে রণতরী, গমের জাহাজ
আমরা ইতালি যাব, গ্রীস যাব আজ।
জাভা আর সুমাত্রায় গিয়াছেন ওরা
করেছিস কার্গিল, সিয়াচেন তোরা।
জলে ভাসমান দ্বীপ, দ্বীপে হলাহল
তার ঘরে নাচ হবে, যার ঘরে বল।
বল কই, বল কই? বল কার ঘরে?
আমেরিকা বল সুদ্ধ নগ্ন ধরা পড়ে।

মৃদুমন্দ বহিতেছে মলয় বাতাস।
চোখে চোখে তৈরি হয় যখন বিদ্যুৎ
নীচের তলার ঘরে ঢোকে রাজদূত।
নীচের তলায় যদি শিকড় না থাকে
ভালবাসা দিতে নেই একে ওকে তাকে।
শিকড় যদি না পায় জল আর মাটি
কোথায় গড়িয়া আর কোথায় বিরাটি?
এত রূপ, এত দাহ, হঠকারী হিয়া
ভালবেসে অন্ধ হও ওগো বড়েমিঁয়া।

এসো ভূমিহারাদের পুণ্য গো-বলয়।
দলিত কেউ না আজ পোড়াও উষ্ণীষ
ক্যাবিনেটে গঙ্গাবক্ষে ঘুষ নিয়েছিস।
কফিনের কেলেঙ্কারি, উঠে বসে মৃতা
কে যে তার সহোদর, কে যে পারমিতা?
তবু আছে একজন, খুশি হবে বলে
ধান থেকে অন্ন থেকে পরমান্ন হলে।

স্বাতী আর কৃত্তিকাও যদি পড়ে খসে
মুদির দোকানে আমি চন্দ্রাহতসম
বোঝা যায় কেন দেশ গণেশায় নমঃ।
বসে আছি সমুদ্রের মাছের আড়তে
এত জল, তবু এত পিপাসা ভারতে!

এনে দিতে পারলে না ঘরে ঘরে চাঁদ?
গোলা ভরা ধান হত, শিল্প গঙ্গাতীরে
বঙ্গ হত সুজলাং, বঙ্গ হত হিরে।

গণতন্ত্র মূষিকের স্বপ্নে পাওয়া ফল।
কে যে কার সঙ্গে আছে কে যে কার বাবা
সব পাখি উড়ে যাবে ইদ্দিস আবাবা।
তবু বসি মুখোমুখি, নাটোরের মেয়ে
ঘাটে বসে আছ তুমি কার পথ চেয়ে?
রাজপুত্র বলেছিল থেকো অপেক্ষায়
ঘাটে বসে আছে মেয়ে দিনরাত্রি যায়।
বিশ্বায়ন উপনীত ‘বন্দরের নীড়ে’
ভারত তিমিরে আজো ছিল যে তিমিরে।

চেয়ে চেয়ে মেয়ে আজ বসুন্ধরা নিজে।
যদি প্রেম সত্যি হয়, থাকে ভালবাসা
সব নদী, রাজ্য, নারী ফিরে পাবে ভাষা।
কোয়ালিশনের জল যেন পায় চাষি
নাটোরের মেয়েটিকে আমি ভালবাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress