শায়ার ওপর পুরুষ-জামা, সাত সকাল নীরা
চিরুনি-ভোলা খোলা চুলের চালচিত্রে মুখ
পেস্ট না ছোঁয়া ঠোঁটে এখন ঘুম ভাঙার গন্ধ
হাত দু’খানি নিরাভরণ, কানের লতি মুক্ত
জানলা খুলে এক ঝলক বাতাস মেখে নিলে…
প্রসাধনহীন নীরা হঠাৎ এ ভোর বেলা আমাকে সুদূরে নিয়ে গেল
তোমার সঙ্গে প্রথম দেখা লক্ষ বছর আগে
নদীর নাম সরস্বতী, অথবা নামই ছিল না
বৃক্ষটিও শাল্মলী বা শিংশপার মতন
তার ছায়ায় আগুন মাখা সেই গোধূলি বেলা
গাছের ছাল ঘিরে রেখেছে অর্ধতনু, চুলে
ধুলো কিংবা ফুলের রেণু, একটি লোভী ভ্রমর
তোমার ওষ্ঠাধরের মধু পানের আশায় ঘুরছে
কালিদাসের উপমা চুরি, হয়তো মার্জনীয়
তুমি ঈষৎ ভ্রূভঙ্গিতে হানলে এক বিদ্যুৎ
ঠিক তখনই বৃষ্টি এল, তুমি বসন খুলে
নেমে পড়লে নদীর জলে, নদীটিও তো নগ্ন
দুলতে লাগল স্রোতের ধারায় তিনটি বুনো হংসী
আমাদের বনবাস, সেই স্মৃতি, একটুও মলিন হয়নি আজও দেখ
কয়েকখানা পাতায় ঢাকা কোমর, আমি কাছেই
লগুড় হাতে দাঁড়িয়েছিলাম, তখনো বাল্মীকি
ক্রৌঞ্চবধে উচ্চারণ করেননি তাঁর শ্লোক
আমার কোনো ভাষা ছিল না, তবু রূপের বিভায়
যেন ক্ষণেক অন্ধ হয়ে পড়ছি ভূমিতলে
অস্ত্র ফেলে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে প্রকৃতিকে
যেন তুমিই, তুমিই নীরা, করেছি কত আদর
হীরা পাথর, চুনী পাথর, মাটিতে সোনা রুপো…
এবার বাথরুমে যাবে, সারাদিন অন্য ছবি, সব প্রয়োজন অকারণ