পিন্টুর আপসোস এইখানেই। তার বন্ধুদের মধ্যে অনেকেরই দাদু আছে, কিন্তু

অরূপবাবু–অরূপরতন সরকার–পুরী এসেছেন এগারো বছর পরে। শহরে কিছু কিছু পরিবর্তন

১. নাসিরুদ্দিনের বন্ধুরা একদিন তাকে বললে, চলো, আজ রাত্রে আমরা

ডিসেম্বরের ঊনত্রিশে, শীতটা পড়েছে বেশ জাঁকিয়ে। সন্ধেবেলা তারিণীখুড়ো এলেন গলায়

তাকিয়াটাকে কোলের উপর টেনে নিয়ে আরও জমিয়ে বসে ঝুঁকে পড়ে

তারিণীখুড়োর এক ভাইপো এক চা কোম্পানিতে ভাল কাজ করে, সে

ছোটদের মাসিক পত্রিকা বহুরূপী এক বছর হল বেরোচ্ছে। সম্পাদক সুপ্রকাশ

কোনও মানুষই তার নিজের অবস্থা সম্পর্কে ষোলো আনা সন্তুষ্ট বোধ

মন্টু কদিন থেকেই শুনেছে তার মা-বাবার মধ্যে কথা হচ্ছে দাদুকে

ত্রিদিব চৌধুরী আর থাকতে না পেরে বিরক্তভাবে বেয়ারাকে ডাকার বোতামটা

কোথায় পেলি এটা? আমাদের বাড়ির কাছেই ছিল, বলল দিলীপ। একটা

একটা ফ্ল্যাট দিনের বেলা দেখে পছন্দ হলেও, সেখানে গিয়ে থাকা

আমার এখন যে চেহারা দেখছিস, বললেন তারিণীখুড়ো, তা থেকে আমার

অর্ধেন্দু সেনগুপ্ত সাতদিনের ছুটি নিয়ে শিমুলতলায় এসেছে। সে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং

ফণীবাবু তাঁর গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে থেকেই আঁচ করলেন যে

কোনও এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলে গেছেন যে মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই

ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটে তাঁর আপিসের যেখানে বসে তুলসীবাবু কাজ

মাথায় অনেকরকম উদ্ভট শখ চাপে মানুষের, বললেন তারিণীখুড়ো, কিন্তু আমার

শশাঙ্ক টেবিলের উপর থেকে খাতাটা তুলে নিল। নীল মলাটের ছোট

অপদার্থ কথাটা অনেক লোক সম্বন্ধে অনেক সময়ই ব্যবহার করা হয়ে

ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নেমে এদিক ওদিক দেখে রতনবাবুর মনে একটা

১. ম্যাকেঞ্জি সাহেবের বাগানে আশ্চর্য গাছটা আবিষ্কার করলেন নিশিকান্তবাবু। সাহেব

তোমার নাম কী? অভিরাম সাউ, বাবু। তোমার বাড়ি কোথায়? উলুইপুর

এর একটা নাম আছে তো? নিকুঞ্জবাবু জিজ্ঞেস করলেন। আজ্ঞে হ্যাঁ,

নিউ মার্কেটের কালীচরণের দোকান থেকে প্রতি সোমবার আপিস-ফেরতা বই কিনে

সাধনবাবু একদিন সন্ধ্যাবেলা কাজ থেকে ফিরে তাঁর ঘরে ঢুকে দেখলেন

কই, আর সব কই? বললেন তারিণীখুড়ো। সব্বাইকে খবর দে, নইলে

সুজনের বাড়ির পিছনেই ছিল একটা সজনে গাছ। তাতে থাকত একটা

ওদিকে যাবেন না বাবু! জগন্ময়বাবু চমকে উঠলেন। কাছাকাছির মধ্যে যে

কন্ডাকটরের নির্দেশমতো ডি কামরায় ঢুকে বারীন ভৌমিক তাঁর সুটকেসটা সিটের

মৃগাঙ্কবাবুর সন্দেহটা যে অমূলক নয় সেটা প্রমাণ হল পানাগড়ের কাছাকাছি

তারিণীখুড়োকে ঘিরে আমরা পাঁচ বন্ধু বসেছি, বাদলা দিন, সন্ধে হব-হব,

রামধনের লোকটাকে চেনা চেনা লাগায় আরেকটু কাছে গিয়ে একটা গাছের

তারিণীখুড়ো তাকিয়াটা বুকের কাছে টেনে নিয়ে বললেন, চমকালের কথা তো

মৃগাঙ্কবাবু তাঁর সহকর্মী সলিল বসাকের কাছ থেকে প্রথম জানতে পারলেন

ক্রিং-ক্রিং…ক্রিং ক্রিং…ক্রিং ক্রিং… বীরেশবাবু বিরক্ত হয়ে খাটের পাশের টেবিলের ওপর

ব্রাউন সাহেবের ডায়রিটি হাতে আসার পর থেকেই ব্যাঙ্গালোর যাবার একটা

কড়া নাড়ার আওয়াজ পেয়ে আপনা থেকেই মুখ থেকে একটা বিরক্তিসূচক

১৯০৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাউথ কেনসিংটনের ৩৬ নং আপার কভেন্ট্রি

জয়ন্তর দিকে মিনিটখানেক তাকিয়ে থেকে তাকে প্রশ্নটা না করে পারলাম

শতদল সংস্থার সেক্রেটারি প্রণবেশ দত্ত বিস্ফোরক সংবাদটি ঘোষণা করবার পর

বদনবাবু আপিসের পর আর কার্জন পার্কে আসেন না। আগে ছিল

অক্ষয়বাবু ছেলের হাত থেকে লেখাটা ফেরত নিলেন। কী রে–এটাও চলবে

তোরা তো আমাকে গল্পবলিয়ে বলেই জানিস, বললেন তারিণীখুড়ো, কিন্তু এই

নিতাইবাবুর অনেকদিনের শখ একটা ময়না কেনার। তাঁর বন্ধু শশাঙ্ক সেনের

চার্লস ওয়েকম্যানের হিস্ট্রি অফ ম্যাজিক আপনার ক ভল্যুম ছিল? সমরেশ

বর্ধমান স্টেশনের রেস্টোর্যান্টে ভদ্রলোক নিজেই যেচে এসে আলাপ করলেন। ফ্রেঞ্চকাট

১. প্রাচ্যের পুরাতত্ত্ব সম্পর্কে আমার বিশিষ্ট বন্ধু ওয়র্ড মর্টিমারের জ্ঞান

শঙ্কর চৌধুরী আধখানা হাতের রুটি ছিঁড়ে ডালে চুবিয়ে মুখে পুরে

১. নাসিরুদ্দিন রাস্তা দিয়ে হাঁটছে, পাশে ফুলে ফলে ভরা বাগিচা

ত্রিদিববাবুর সাধারণত একটা হালকা বই পড়েই সময়টা কেটে যায়। কলকাতা

রন্টুর বয়স পনেরো, কিন্তু এর মধ্যেই তার গানের গলা হয়েছে

আমি ভূত। আজ থেকে ঠিক সাড়ে তিন বছর আগে আমি

অবনীশ ছবিটার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল। অয়েল পেন্টিং। একজন মাঝবয়সি

বঙ্কুবাবুকে বুকে কেউ কোনওদিন রাগতে দেখেনি। সত্যি বলতে কি, তিনি

নদীর ধারে খোলামকুচি দিয়ে ব্যাঙবাজি খেলতে খেলতে হঠাৎ গঙ্গারামের চোখে

আপনাদের অর্ডারটা একটু অস্বাভাবিক ধরনের, বিস্ময়ের মাত্রাটা যথাসম্ভব কমিয়ে বললেন

মেজাজটা বনেদি, প্রত্যাশা অসীম, অভিজাত বংশের রক্ত বইছে ধমনীতে, অথচ

অ্যাই শিবু–এদিকে শোন। শিবুর ইস্কুল যাবার পথে ফটিকদা তাকে প্রায়ই

আমার ঘটনাটা কেউ বিশ্বাস করবে বলে বিশ্বাস হয় না। না