ভস্ম মেখে ঘোরে শম্ভু
শ্মশানে যাঁর নিবাস
দক্ষকণ্যা মালা পরান
কি আছে তাঁর স্টাটাস।
সতীর পিতা বলেন ছিছি
এক্ষুণি ত্যাগ করো
পতিগৃহে থাকো তুমি
ওখানেতেই মরো।
মেয়ে জামাই ছাড়া করেন
বৃহস্পতি যজ্ঞ
সতী পৌঁছায় পিতৃগৃহে
শোনে বর নীল অজ্ঞ।
পিতৃমুখে স্বামীর নিন্দায়
আহুতি দেন সতী
পত্নীর মৃত্যু শুনে শিবের
স্হির থাকে না মতি।
নটরাজ ওই খ্যাপা হয়ে
নৃত্য করে ঝড়ে
চক্র দিয়ে বিষ্ণু দুর্গার
শরীর খণ্ড করে।
সতী মায়ের দেহখন্ড
পড়ল যে স্হানে
পীঠস্থান যে বলে তাকে
সবাই সেটা জানে।
এইভাবে তো একান্ন পীঠ
হলো নানা ধামে
নানান গল্প গাঁথা আছে
একেক পীঠের নামে
সাতচল্লিশটা শক্তি পীঠের
কথা সবার জানা
চারটে পীঠের সঠিক নির্ণয়
যায় নি আজো মানা।
দক্ষিণ স্কন্ধ ,নিতম্ব আর
চোয়াল কোথায় পড়ে
পুরান মতে এসব চর্চা
ছিল ঘরে ঘরে।
একান্নটি পীঠের মধ্যে
মা ভবানী নাম
ডান হস্তটি পড়েছিল
চট্টগ্রাম সেই ধাম।
এইভাবে শেষ করি আমি
সতী পীঠের গল্প
গয়নাগুলো পড়ল কোথায়
জানি অল্প স্বল্প।