সে ছিল এক যাযাবর পাখি।
সে যখন যেখানে ইচ্ছা চলে যেতে পারত।
তার না ছিল কোনো পিছুটান না ছিল সমাজের চোখরাঙানি, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ।
সে শুধু মনের আনন্দে আকাশের বুকে ভেসে বেড়িয়েছে, মেঘেদের সাথে করেছে সখ্যতা।
রোদ, বৃষ্টি তার বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি;
বরং ওরাই ছিল পরম আপন, খুব কাছের।
এমনি করেই হঠাৎ একদিন তার দেখা হল এক খাঁচার বন্দি পাখির সাথে।
কি জানি, কি করে ওরা বন্ধু হয়ে গেল!
খুব ভালো বন্ধু,
যেন ঈশ্বরই পাঠিয়েছেন ওদের একে অপরের বন্ধু হবার জন্য।
কিন্তু সেই খাঁচার বন্দি পাখি; সে যে ভীষণ অসহায়
খাঁচায় বন্দি থাকতে থাকতে কবে যে ওর ডানা
ওড়বার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে!
হাজারটা পিছুটান ওর পথ আটকে রেখেছে।
ও জানে না ওর কোন্ কাজটা করা উচিৎ আর কোনটা অনুচিৎ।
শুধু ভালোবাসতে জানে ও ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য হতে পারে সেটা জানে না।
অনেক অনেক গল্প শুনেছে আকাশের,
পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, খোলা মাঠ সব কিছুর গল্প শুনেছে যাযাবর পাখির কাছে।
আর দুই চোখে স্বপ্ন এঁকেছে রাশি রাশি।
যাযাবর পাখি তো কতবার বলেছে, ” খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে এসো বন্ধু, চলো আমরা উড়ে যায় ঐ আকাশে,
যেখানে মেঘেরা ভেসে বেড়ায়, যেখানে মেঘেদের বাড়ি,
সেখানে থাকব আমরা।”
খাঁচার পাখি শুধু মুগ্ধ হয়ে শুনেছে, উত্তর দিতে পারেনি কিছুই।
ও জানে ওর যে স্বপ্ন দেখা নিষেধ।
যাযাবর পাখি কি বুঝবে ওর উত্তর না দিতে পারার যন্ত্রণাটা!