কি আনন্দ কি আনন্দ
আজ এই মথুরাধামে।
চারিদিকে বাতাসে সুগন্ধ বহে
যেন হাজার আগরবাতি জ্বলে
ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের
অষ্টমী তিথিতে
নিশুতিরাত চারিদিকে অন্ধকার
মুষলধারে বৃষ্টি পরে
দেবকীর অষ্টমগর্ভে
কংসের কারাগারে
জন্ম নিলো কৃষ্ণ ভগবান
বালকৃষ্ণ রূপে।
দেবতারা স্বর্গ থেকে
পুষ্পবৃষ্টি করে
নিয়তির লেখা যায়না খণ্ডানো
কোনো ভাবে কারও ক্ষেত্রে
তাই নিয়তির ফেরে
কারাগারেই জন্মায় কৃষ্ণ।
কারাগারে ছিল যত প্রহরীগণ
যোগো নিদ্রায় হলো মগ্ন তখন
বাসুদেব কোলে নিয়ে
চলে গোকুলের পথে
যেথায় বাস করে
নন্দ রাজা ও যশোদারাণী।
যমুনা বহে কানায় কানায়
বাসুদেব নামতে ভয় পাই
কিন্তু যমুনা পার হয়ে
যেতে তো হবেই
সেখানেই যে আছে
নন্দ রাজার ঘর।
বাসুদেব বালকৃষ্ণকে ঝুড়ি মাথায়
নির্ভয়ে যমুনতে নেমে যায়
কৃষ্ণ চরণ পাবার তরে
যমুনা উথলিয়া ওঠে
কৃষ্ণচরণ পরশ পেয়ে
আবার যমুনা আগের রূপে ফেরে
বৃষ্টিতে ভিজে যাবে বলে
শিষনাগ ছাতা হয়ে থাকে
এই ভাবে পৌঁছিল বাসুদেব
গোকুলে নন্দরাজার ঘরে
মা যশোদার কোলে কৃষ্ণ
মহানন্দে সুরক্ষায় রহে।
মাখন চোরা নোনী চোরা
যশোদা নন্দন
কৃষ্ণ তুমি সংহারিতে
এসেছিলে এই ধরাধামে
রাখালরাজা নোনীচোরা শ্রীমধুসূদন
কতো নামে পরিচিত তুমি নারায়ন ।
জন্ম থেকে দেখিয়েছিলে
কত না লীলাখেলা
তোমার লীলা অপারঅসীম
ধন্য তুমি যশোদানন্দন নন্দলালা।