জন্মের আগে পচে মরলাম
জল ভরা চেম্বারে।
তারপরে পায়ে ছেঁটে
কোদাল দিয়ে কেটে,
কত না কিছু করে।
অবশেষে চাকাই ফেলে
টিপে টিপে নানান ভাবে ধরে,
ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে অনেক কষ্টে
জন্ম দিল আমায় ,মনের মতো করে।
ভালোবেসে নাম টা দিলো ,মাটির ভাঁড়
তারপরে শুরু হলো অন্য কাহিনী
রোদ্রে ফেলে নাড়েচাড়ে ঘরের গৃহিনী
গৃহকর্তা যখন দেখে শুকিয়ে গেছি আমি
পরমানন্দে ভাটার মধ্যে রাখলো আনি।
তারপরের দুঃখের কথা বলবো কিরে ভাই
ভাটার মধ্যে রেখে আমার আগুন দিলো গায়
যত জ্বলে ভাটার আগুন ততই জ্বলি আমি।
জ্বলেপুড়ে গাটা আমার হলো যখন রক্তিম
গৃহকর্তার মনে করে পেলাম সোনার ডিম ।।
তার পরেতে মহানন্দে ঘরে তোলে আমায়
চায়ের দোকানে বেচে অনেক অর্থ কামাই।।
এখন থেকেই শুরু হলো নূতন কাহিনী
দোকানদারের গরম চায়ে জ্বলে গেল গা খানি।
এত কষ্টে ও আমি মনে শান্তি একটু পাই
সবাই যখন আমায় ধরে চায়ে চুমু দেয়।।
অনেকে আবার খাবার পরে আমায় আছাড় মারে
আমার কপালে এসবই লিখা আছে
এভাবেই পায়ে পিষে ,আছাড় খেয়ে শেষকৃত্য হবে।