ছেড়ে দে রে আমাকে
তোরা যে খুন…
আমি কিছু দেখি নি
তোদের হাতে কলম ধরিয়ে ছিলাম
হায়রে ভগবান তাদের হাতে অস্ত্র!
চুপ করো মাষ্টার চিৎকার করো না,
বুঝলে ভগবান ঘুমাচ্ছে!
তোমার চিৎকারে ভগবান জেগে যাবে!
দাদা তোমরা আমার বাবাকে মেরো না!
ওই মেয়ে কিসের দাদা
তোর কোন মায়ের পেটের ভাই রে!
দে দে বাপকে ছেড়ে একেই..
ওরে আমার নাবালিকা মা হারা মেয়েকে অন্ধকারে নিস না!
হ্যালো একশ নম্বর পুলিশ স্টেশন
আরে চুপ মাঝরাতে …
এক পাগলি বলে,ধরল না তো ফোন!
তুমি কেঁদো না বাবা ধর্ষকদের শাস্তি হবে না–
ভগবান ঘুমাচ্ছে!
তোমার চিৎকারে ভগবান জেগে যাবে!
সব চোখ থাকতে অন্ধ!!
তার চেয়ে ভালো চলো আমরা পাগল হয়ে ঘুরে বেড়ায়!
দেখো বাবা কেমন কালো কাপড় মুখে বেঁধে
মোমবাতি হাতে সবাই চলেছে
চলো চলো বাবা মিছিলে পা মেলাই
আস্তে ফিসফিস করে বলে
ভগবান যে ঘুমাচ্ছে!
তোমার নাবালিকার জন্য নীরবতা পালন হচ্ছে!
শব্দ করো না , ভগবান নিদ্রা দিয়েছেন
ঘুম ভাঙলে সেও ছাড়বে না
রক্ষক যে আজ ভক্ষক!!
তাও তো নাবালিকার শরীরে রডের আঘাত
সতীর মতো টুকরো টুকরো অঙ্গ ভিন্ন জায়গায় পাও নি!
নাবালিকা তো অতজনের অত্যাচার !
চুপ চুপ। জানালা দরজা বন্ধ করে দিন
কেউ কিছু দেখেন নি!!
শুনতে পাচ্ছ পাগল বাবার আর্তনাদ!!
তোদের ভগবান পাপিষ্ঠদের শাস্তি দিতে পারেন না–
পাগল বানাতে পারে রে!!!!!!
পাগল……!!
ইস লোকটি মেয়ের শোকে বদ্ধ উন্মাদ!
এক সময় ছাত্র গড়ার কারিগর ছিলেন।।