আকাশ চুমে তোলে হিল্লোল
অক্ষি-হৃদয়ধামে,
পিরামিডের শিখর বন্দী
অতলস্পর্শী খামে।
ব্যাবিলনের সবুজ স্বর্গে
দোদুল্যমান হিয়া,
ভাস্কর্যের অরূপ চেতন
পায় জীবন্ত কায়া।
চাঁদের মাটি রয় নির্বাক
চীনের প্রাচীর বলে,
ইতিহাসের দৃপ্তকথন
শিরার স্রোতে জ্বলে…
কোরকোভাডো শব্দ পেল
মৌনতা হল ভগ্ন,
ক্রাইস্ট দ্য রেডিমার দুইহাতে
আলিঙ্গনে মগ্ন…
জ্যোৎস্না মায়া নীরব কায়ায়
পেরুতে দেয় ধরা,
মাচুপিচু ডাকে,হাতছানি দেয়
রহস্য নাড়ে কড়া…
পৈশাচিকতার নগ্ন হাসি
রক্তে প্রাচীর গড়ে,
কালোসিয়াম থিয়েটার তায়
শরীরে কয়েদ করে।
যমুনা বক্ষে শোভিত কক্ষে
জীবন্ত রূপকথা,
তাজমহলের পাথরের বুকে
বিস্ময় ‘চুপকথা’…
অষ্টম আশ্চর্য আঁধারে
খোদিত ধরার বুকে,
বিস্ময় আর অপার মায়া
নীরব চিত্র আঁকে…
মানবজনম তুলে তরঙ্গ
তুমুল জোয়ারে গর্জে,
উথালপাথাল তুলে গেছে ঢেউ,
খোদিত বিবিধ কার্যে।