কতটা বাষ্প বাতাসে মেশালে নদীর বুকে পড়ে থাকে কেবল শিলা!
তার হিসাব মেলাতে পারে কোন গনিতজ্ঞ!
জানে না কেউ!
এমনকি ঐ সূর্যও জানে না…
কতটা তাপে পুড়িয়েছিল কোন এক ভরা নদীর বুক!
চাঁদের আলো একসময় হীরের টিপ পারতো তার ছোট ছোট তরঙ্গের কপালে।
নীল জ্যোৎস্না তার পাড়ে এঁকে দিত নৈসর্গিক শোভা।
আজ দুকূলে পড়ে আছে জীবাশ্ম বুকে ধরা কিছু পাথর –
কয়েকটা নিশ্চুপ কাঁটা গাছ –
আর একজনমের হাহাকার মাখা নোনা বালি।
আবারও বৃষ্টি আসবে..
তারও পর শুরু হবে দহনপালা
আবার শুকোবে নদী!
নাহ্! নদী নয়।
একটা নোনাধরা সভ্যতা।