লোকটা তো বুঝতেই পারলো না কী করে যে সূর্যাস্তের ঠোঁট
তাকে খুব চেপে ধরেছিল-
তবে কী একেই বলে মরণকামড়? লোকটা কী
হিরণপয়েন্টে যেতে চেয়েছিল মাতাল ভেলায় চেপে একা?
গোধূলিতে হরিণের জলপান দেখবার সাধ
জেগেছিল অকস্মাৎ মনের গহনে?
ছিল না বন্দুক সঙ্গে, কাতুর্জের বাকশো বইবার
ইচ্ছাকে বাতিল করে এসেছিল, যদিও সুন্দরবনে বাঘ
আগুনের গোলার মতোই
লাফিয়ে উঠতে পারে, জানা ছিল তাও।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার তার ঘাড়ে
লাফিয়ে পড়েনি,, টুঁটি ছিঁড়ে রক্তপান
করেনি, বরং ভেলা ঢেউয়ে ঢেউয়ে হেসেছে জ্যোৎস্নার। চাঁদ তাকে
নিরিবিলি সঙ্গ দিয়ে নিয়ে গেছে বনের কিনারে, অকস্মাৎ
কবিতার আঙ্গুল হৃদয়ে আল্পনা আঁকে আর
সপ্ততন্ত্রী আলোড়িত হয়।
লোকটা নিথর হয়ে আছে ভাসমান
ভেলায় নিঃসঙ্গ তার নিঝুম শরীর ঢলঢলে
জ্যোৎস্নার কাফনে মোড়া। ঢেউগুলো ছলছল পড়ছে জলজ
কিছু সুরা, গন্তব্যবিহীন যাচ্ছে সৌন্দর্যের নিরালা শহীদ।