নতুন কী লিখছেন, সুনীলবাবু? আপাতত কিছু না
কেউ বিশ্বাস করে না
যদি বলি, একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করছি
সবাই অন্যমনস্ক হয়ে যায়, হঠাৎ বলতে শুরু করে
আজ রাস্তায় ট্রাফিকের বড় গোলমাল
নতুন লেখা মানেই লম্বা-লম্বা উপন্যাস
সে-রকম কয়েকখানা লিখে অন্যায় করে ফেলেছি?
এখন রাত পৌনে-একটা, আজ আকাশ অদৃশ্য
কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত সরস্বতী-বিসর্জনের খুব হই-হল্লা ছিল
এবারে একটিও সরস্বতী মূর্তির সামনে দাঁড়াইনি
এখন দূরে-দূরে কিছু আলো শান্তভাবে ঘুমন্ত
দিনের বেলা পিকনিকে যথেষ্ট পানাহার ছিল, রাত্তিরে আবার
কেন হুইস্কি খাচ্ছ? স্বাতী খুব নরম, মৃদু অনুযোগ করেই
চলে গেল বিষয়ান্তরে, তারপর শুতে চলে গেল
হ্যাঁ, সত্যি আমি বেশি-বেশি পান করছি, বেশি-বেশি সিগারেট
কেন? কেন?
কোনও ব্যর্থতাবোধ থাকার কথা নয়, বেশ তো চমৎকার জীবন
তবু এই রাত্তিরে চুপ করে বসে থাকি, বিছানা ডাকে, যাই না
চিন্তাকেও স্তব্ধ করে রাখি, স্তব্ধতাকে আদর করি
নাঃ, কোনও অনুতাপ নেই, আঙুলে কোনও পাপ নেই
কলম সরিয়ে রেখে চেয়ে থাকি সাদা পৃষ্ঠার দিকে
যা-যা লিখতে পারিনি, তাদের স্পষ্ট দেখতে পাই
এত-এত লেখা, তার পরেও সংখ্যাহীন না-লেখা
তারা হাসে, হাত ধরে নাচে, চোখ টিপে সরে যায়
যেন একটা মঞ্চ, এই খালি, এই ভর্তি, উইংসের একপাশে ওরা
অন্যপাশে উঁকি দেয় কে? চেনা-চেনা লাগে, চিনতে পারি না
আরও আড়ালে চলছে পাশাখেলা, একজন চোখ-ভেজা রমণী
আর তার বিপরীত দিকে…এই, এই, ভুল চাল দিয়ো না!