নাথুলা পাস পার হবার সময়
সাকলিন মুস্তাক কী বলেছিল তার বন্ধুকে?
প্রীতম সিং-এর পায়ে তুষার ক্ষত, সে শুয়ে পড়ে কাতরাচ্ছে
সাকলিনকে যেতে হবে, যেতেই হবে, সামনের চেক পোস্টে তার দায়িত্ব
সাকলিনও কি থেমে যাবে বন্ধুর জন্য, কেঁদে কেঁদে পাহাড় ফাটাবে?
মুমূর্ষ প্রীতম কি বন্ধুর গলা জড়িয়ে বলবে, ওরে আমায় বাঁচা, ফেলে যাসনি!
তবু যদি সাকলিনকে চলে যেতে হয়, সেটা কি অন্যায়?
আমরা জানি না কী ঘটেছিল সেখানে সেই সংকটে
জানুয়ারির নাথুলা পাসে রক্তারক্তি ঝড় বয়েছিল
ধরা যাক উল্টোদিকে, সাকলিন মুস্তাকই তুষার ঝড়ে কাতর,
এগিয়ে যাচ্ছে প্রীতম
প্রীতম সিং-এর বুকে অনেক অক্সিজেন এবং কর্তব্যের জেদ
অন্তরীক্ষ থেকে নেমে আসছে সব রকম প্রতিরোধ
প্রীতম কি বন্ধুর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যাবে মুখ ফিরিয়ে?
আমরা ঠিক জানি না
কে কাকে টানছে, কে দুর্জয় সাহস নিয়ে অবহেলা করছে প্রকৃতিকে
কে থাকবে, কে যাবে, কে বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি মূল্য দেবে
তার ডিউটির নিষ্ঠাকে
সেটা বড় কথা নয়, ধরা যাক ঝড় তখন প্রলয়ের মতন
ওগো পাঠক, তুমি তার থেকে অনেক দূরে, রয়েছো
নিজের ঘরের নিশ্চিন্ত আরামে।
ওগো পাঠক, তুমি মন ঠিক করো, সাকলিন আর প্রীতম
এই দুটো নাম নিয়ে তুমি আগেই আলাদা মতামত
তৈরি করে নেবে কি না!