চসারের চার্চে আর কখনও যাব না, ঘুরে ঘুরে
নতুন যবের খেতে এসে বহুকাল বাদে আজ
একটু জিরিয়ে নিই; ফিরে যাচ্ছে, নিতে এসেছিল
যে লাল রঙের গাড়ি, তার অসমাপ্ত এভিনিউ
কুশের জঙ্গলে ঢুকে মুছে যায় ক্ষুব্ধ মৃগয়ায়।
ওইতো সাহেব সোনা চুরি করে পাদরিকে দিচ্ছেন
আর ফাঁকা দুরন্ত ফিটন ছুটে চলেছে যুদ্ধের
খবর আনতে, চার্চ বাদে সমস্ত বাড়ির নীচে নীচে
শস্য ও গন্ধক রেখে দাও, চালাঘরে আগুন লাগিয়ে
সরে এসো, এক রাতে বাগদিপাড়া শেষ, ওখানেই
বাকাসের রথ থেকে কুমারী মেয়েরা নেমে এসে
নতুন নগরী নয়, চেয়ে বসলেন দক্ষিণের
নাচঘর, নীল মোজাইক, দুটি করে পুংমূর্তি।
আমি বিকেলে একাই হাঁটছি, ভূত মাথা থেকে টুপি
খুলে ফেলে দিল পানাপুকুরের জলে: কী দেখছিস?
স্বর্গের সমস্ত পথ খোলা শুধু একখানা ছাড়া।
সেখানেই দু’জন পাদরির মধ্যে ঝগড়া চলেছে
বাটখারা নিয়ে, সোনা নিয়ে, দূরে আমি হেঁটে যাই