দস্তক, না , শুনতে পাইনি সে এসেছিল
দরজায়, মনের নুব্জতার গ্রাসে খন্ডহর
মন্দিরের ফটক ।
একরাশ চাতক বুকে বাসা বেঁধে জল চেয়েছিল ,
ওদের পাঁজি, তিথি ,নক্ষত্রের দরকার ছিল না ।
চতুষ্পদী মন অষ্টাপদী হয়ে দেওয়াল
বেয়ে মহাশূন্যে ঘর বেঁধেছিল কালবেলায়।
গোষ্পদে আটকে থাকা ইচ্ছেগুলোর
ইচ্ছেই ছিল না সমুদ্র দর্শন।
মন-নিকুম্ভিলা ভরেছিল বিষবাষ্পে
লক্ষ্মণের অগোচরে ।
ট্রাম্পকার্ড হাতে নিয়েও অভিমণ্যু রূপ,
ঈশ্বর ক্ষমা করেন নি।
সেজবাতির রোশনাই ঘিরে বেজেছিল
একটাই সুর – ফটিক জল ।
হিংস্র উন্মত্ততায় হারিয়েছে চাঁদের বুড়ির
পুরোনো আস্তানা ।
একপশলা বৃষ্টিতে নিভেছে কাঠকয়লার
উত্তাপের ঢেউ ।
বৃষ্টির জলেও বন্ধ্যা পৃথিবী গর্ভবতী
হয়ে উঠতে পারল না।
যেমন তোমার ‘দস্তক’ আমার কান
অবধি পৌঁছয় নি ।
আশিয়ানার স্বপ্ন হারিয়েছে নয়া সবেরাতে,,
মাঝরাতে।
চে গুয়েভেরা তোমার কাছে ব্রাত্য হলেও
আমি কিন্তু ডি’জের গগন বিদারী
আওয়াজের ফাঁকে ঠিক শুনতে পাই ।
চাহিদা – সাম্য অসাম্যের চাবিকাঠি,
খেয়াল রেখে চল —
তুচ্ছ ব্যক্তিচাহিদার হোক সমাধি,
গান গাই না হয় —
“যদি সবার ছাদ হয় এক আকাশ
যদি দেওয়ালগুলো ভেঙে যায় হঠাৎ
হাসি মুখ তুলে, অভিমান ভুলে
নতুন সূর্য বলবে সুপ্রভাত “।
এস , প্রতিজ্ঞা করি ,
ধর্মের ধ্বজা আর চাই না ,
চাই না ,মিথ্যের ফুলঝুরি ।
ধর্মের জিগির দূরে থাক ।
সব ধ্বংস হয়ে একটাই উপাসনালয়
গড়ে উঠুক মানবতার।
সেখানেই না হয় পূর্ণতা পাক
আমাদের ভালোবাসা ।