তুম্বুনিতে সেই রাত্রি, মাঠের মধ্যে ঘোর অন্ধকার
বসন্ত পোদ্দার নামে দৈত্যাকার মারাঠি যুবক
আর কঠোর চেহারার কুসুমকোমল রশিদ খান
শক্তির দাপাদাপি আর সন্দীপনের জাদুবাস্তবতার প্রতিশ্রুতি
সবচেয়ে কৃশকায়, সবচেয়ে মায়াময় যোগব্রত
চাঁদ উঠবে না, আলপথে অনেক গর্ত ও রিপুভয়
হঠাৎ হঠাৎ পুরুষকারের ঠোকাঠুকি, অট্টহাসি ও
মধুমাখানো ছুরির সংলাপ
এবং গান, আমরা হাঁটছি, যে কেউ বেসুরো হবার জন্য স্বাধীন
তারই মধ্যে কোথায় ছুটে গেল যোগব্রত, একটা প্রবল
ই-ই শব্দ করে, অভিমানের কুয়াশা মেখে
আমরা থমকে যাই, সিগারেট ছুঁড়ে ফেলি
আকাশে উড়ন্ত বাদুড়, কোথাও ডাকছে প্যাঁচা, আর
কেন এত ঝিঁঝিঁর ডাক
এগারোটি কণ্ঠে সেই পাতলা যুবকটির নাম ধরে চিৎকার করে
টুপটাপ খসে পড়ে এক একটা নক্ষত্র, উল্কা ছুটে যায়
তুম্বুনির মাঠে আমরা ডেকে চলেছি গলা চিরে
যোগব্ৰত ফিরে আয়, যোগব্রত, ফিরে আয়, ফিরে আয়
যুদ্ধযাত্রী পুরুষেরা হাহাকার করছে একজনের জন্য
অভিমান ছাড়া যার আর কোনো হাতিয়ার নেই।