দুপুর ডাগর হতে না হতেই ঘুম পায় আজকাল।
বয়সের দোষে? হবে হতেই তো পারে, কত সূর্য, কত চাঁদ
বিলিয়ে উদার আলো আমার শরীরে
নিঃশব্দে আমাকে নিয়ে গেছে
স্যাঁতসেঁতে আঁধারের দিকে। পাকা ফলের মতোই
আমাকে বানিয়ে ফেলে সময়ের ফুঁয়ে তাড়াতাড়ি
ঝরে পড়বার যোগ্য করেছে নিভৃতে। বুঝি তাই ইদানীং
ঝিমুনি দখলদার, মেঘ থেকে এক কালো ঘোড়া নেমে আসে।
চকিতে ঘোড়া কি পিঠে বয়ে নিয়ে যাবে ঝিমোনো আমাকে
মেঘ থেকে আরও অধিক মেঘের অন্তরালে,
রেখে দেবে জগৎ-সংসার বহির্ভূত উদ্যানের
ঝরাপাতাদের ভিড়ে? সেই সব মরা
পাতাদের ভিড় ঠেলে কাদের মুখের
হাসি কিংবা দাঁত খিঁচুনির ঝলসানি
ঢুলঢুল চোখে আমি দেখব সেখানে? মৃতদের
নিবাস এমন হবে জেনে
নিজেকে মিথ্যার কুহকের ফাঁদে ফেলে
ঘুমের শিশিরে ভিজে থাকব আড়ালে পড়ে ডাগর দুপুরে
আড়মোড়া ভেঙে দেখি ঘরে কখন যে বিকেলের
পেলব রোদ্দুর সঙ্গে হরিয়াল, চাতক, ডাহুক
সপ্রেমে এসেছে নিয়ে, কিছুই পাইনি টের। এই সব কোমল প্রাণীর
সভায় ঘোষক নেই, সভাপতি নেই
বাকবিতণ্ডা কি খেয়োখেয়ি নেই, চিত্তহারী রূপ
হাঁসের মতোই শান্ত রূপালি ডানার শোভা ছড়িয়ে রয়েছে।