পেটে বোমা বেঁধে যে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে
ও কি পরজন্মে বিশ্বাস করে?
যাবার পথে হোঁচট খেলে ওর পায়ে ব্যথা লাগে না?
ওই তো দেখতে পাচ্ছি মুখে কালো মুখোশ পরে
এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুদূত
মুখোশের নীচে ওর মুখখানা কি এক নশ্বর মানুষের নয়
ও কি নিজেকে ভাবছে দেশপ্রেমিক?
ও কি জানে না, মানুষ শুধু মাতৃগর্ভেই জন্মায়
দেশ বলে কিছু নেই
কামিকাজি বিমান চালকরা আগুনের মধ্যে খুঁজে ছিল দেশ
ও কি নিজেকে ভাবছে কোনও ধর্মের ধ্বজাধারী
ও কি জানে না, সব ধর্মই একদল নেশাখোরের অলীক বিলাস
দেশ নেই, আছে এক একটি হৃদয়হীন রাষ্ট্র
ও কি ডেভিড হয়ে লড়তে যাচ্ছে গোলায়াথের সঙ্গে
ও কি অভিমন্যুর মতন ভেদ করতে চাইছে সপ্তরথীর চক্রব্যুহ
তা হলে নিজের মাথার ঘিলু আগেই রেখে এসেছে কার পানীয়ের গেলাসে
যারা ওকে পাঠায়, তারা মানুষের মাথার ঘিলু চুক চুক করে
পান করতে ভালোবাসে
যেমন এক একটি রাষ্ট্রনায়ক স্নান করে মানুষের রক্তে
ওরে পাগল, তুই কি জানিস না মানুষের জীবন মাত্র একবার
মাত্র একটাই
ওরে পাগল, তুই না থাকলে যে মুছে যায় সারা পৃথিবীর মানচিত্র
ওরে পাগল, তোর কাজের মেয়েটির শরীরের যে উত্তাপ
তোর স্বপ্নে দেখা স্বর্গের হুরি-পরিদের তা থাকে না
এক ফুল থেকে অন্য ফুলে উড়ে যাচ্ছে ভ্রমর, ওদের পরজন্ম নেই
উড়ছে ঝক ঝক প্রজাপতি, দোল খাচ্ছে বাতাসে
নিরালা ঝর্নায় পা ড়ুবিয়ে বসে আছে একজন মানুষ
ও চিরকাল বসে থাকবে ওখানে
ওর গান খুব মন দিয়ে শুনছে চারপাশের হরিৎ গাছপালা
ওখানে বারুদের গন্ধ নেই।