বল্লম নিয়ে ধেয়ে আসে দামাল বাতাস,
বাতাসীর বীভৎস অনুভবে জাগে
স্নায়ুর সারা ঘরে শুধুই হাঁসফাঁস !
বর্দ্ধমান, ক্রমবর্দ্ধমান দস্যিপনায়
বুঝতে পারি, খুলছে খুলছে সেই ঢাক,
যেখান থেকে বাড়ালেই মুখ বুঝি ঠিক,
কিম্ভূত-কিমাকার অসহ জীবটি আবার
সত্তার দখল নিতে বাড়াচ্ছে চাপ ।
হলোটা কি ? কি হলো রে বটে ?
বিশমণী উপলের ভারে জগতটা লাগে নড়বড়ে,
ভূ-কম্পের আদুরে প্রহারে মগজের সীমানায়
কারা যেন দিচ্ছে ঝাঁপ ?
দাপটের ফুরফুরে মেজাজের তীব্র শোষণে
বত্রিশ পাটির দেঁতো ঝলকে দেখি খুশীতে ডগমগ
চাপ- আসছে রে ছুটে চাপ ।
ওমন জানোয়ার জীবনভর গ্যাস-কক্ষে
ঠেলেঠুলে যথা-তথা দেয় চুম্বন-ভাপ !
তামাম পরিবেশে তখন খুঁজি জহরব্রতর নব্য ধারণা—
লেলিহান শিখার পেটে শয়তানটা দিক না মরণঝাঁপ!
ঝাঁপ রে ঝাঁপ !
তেমন ঝটিকায় নামবেই শান্তি, থাকবে না কুশ্রী তাড়না,
বাঁচব রে সুস্থতায়, বাঁচব রে মগ্নতায়,
ফুৎকারে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলাম
নামগোত্রহীন জমাট বদ্ধ চাপটা ।
বাপরে বাপ! বাপরে বাপ!বাপরে বাপ !
নাইরে নাইরে জানি নিস্তার এমনতর দংশনে,
ডেরায় যেন সানন্দে নাচেই অচেনা কালসাপ ।