কুশিয়ারা নদীর পাড়ে সবুজ ঘেরা গাঁয়ে,
মায়াময়ী পল্লীমায়ের স্নিগ্ধ আঁচল ছায়ে
যেথায় থাকে বাল্য সাথী আমার সুজন সখা
ব্যাকুল টানে মনটা ছুটে একটু পেতে দেখা।
সোদামাটির গন্ধ ভরা মধুর কৈশোর বেলা,
আমবাগানে ভরদুপুরে লুকোচুরি খেলা।
পরাণ সখা সুজন আমায় দিতো যে আম পেড়ে,
সময় দত্যি হামলে পড়ে নিলো সেদিন কেড়ে।
কুশিয়ারা নদীর বাঁকে পলাশ বটের মূলে,
খুনসুটিতে খেলায় মেতে ঘরের কথা ভুলে।
অশ্বত্থ গাছ রাখতো বুকে পাখির কুজন ভরে
দোয়েল কোয়েল খঞ্জনাতে গাইতো মিঠে স্বরে।
স্নিগ্ধ শীতল মলয় ছোঁয়ায় জুড়ায় সবার প্রাণ,
বকুল,বেলি হাসনাহেনা ছড়াতো যে ঘ্রাণ।
সর্ষেফুলে গাঁয়ের মাঠে হলুদ শোভা ধরে,
কুশিয়ারা নদীর পাড়ে কাশের ফুলে ভরে।
সাথী সুজন সবায় দেখতে আকুলতা ঝরে,
সময় পেলেই পরাণ পাখি ওড়ে ফুড়ুৎ করে ।
কুশিয়ারা নদীর পাড়ে আজো সবে বসে,
সুখের দুখের স্মৃতির কোলাজ ভরে যে নেয় রসে।