গিন্নী:এই যে হোৎকাবাবু আর কত যোগ ব্যায়াম হবে ।যেন কামদেব এসেছে ঘরে।
কর্তা:অ্যা কিছু কইলে। একটা গোদা হাতিতে রাতে ঘাড়ে এমন খুশি মেরেছে,রাম বললে কাম শুনছি।আরে তোমাকে পাশের বাড়ির সুন্দরী টেপি দেখছি।
গিন্নী:এই যা কি বলো।টেপি কত সুন্দরী। ফর্সা।
কর্তা:হাস্যমুখে বলে এখনো স্বপ্নে তাকেই দেখছি!আর ভাবছি মাঝে মাঝে টেপিকে পূর্নিমা থেকে অমাবস্যা দেখছি কেন!
গিন্নী:ঘাটের মড়া,অন্তর্জলী যাত্রার বুড়ো,অন্যের বৌকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা!
কর্তা: কোথায় গো পুরোটা দেখছি, মাঝে মাঝে তুমি চলে আসছ যে!
এত বিশেষণে পেট ভরিয়ে দিলে।
মন ও পেট পরিপূর্ণ, বাজারের থলে দাও।
গিন্নী:আনবে’তো কুকুরের লেজের মতো গুটিয়ে যাওয়া লাউ শাক।পোকা বেগুন 🍆,
মড়া লটে। তোমার দাঁড়ির মত এবড়ো থেবড়ো উচ্ছে।
আমার বাবা আনতো গঙ্গার টাটকা ইলিশ।
কর্তা: এতদিনে বুঝলাম তাইজন্য তোমার বাপে গামছা পরে বাজারে যেত।গঙ্গায় ইলিশ দেখলেই গামছা খুলে ঝাঁপিয়ে পড়ত।
গিন্নী:এই পোড়ামুখো হাড়জ্বালানো মিনশে বাপ তুলবে না।মুখে নুড়ো জ্বেলে দেব।
কর্তা:এই বৌ একটা চিমটি কাটো তো, ভোরবেলার স্বপ্ন সত্যি হলে ….।
আমি স্বপ্নে স্পষ্ট দেখলাম বেনারস থেকে তোমার শাড়ি আসছে।
গিন্নী:চিন্তান্বিত হয়ে বলে কী বলছ সোনা, বেনারসী দেখেছিলে তো!
কর্তা -সেটাই যোগা করতে করতে ভাবছি! মুখটা কার ছিল! পূর্ণিমা না অমাবস্যা,তাহলে ভোরের স্বপ্ন সত্যি হলে!
এই পুচু সোনা একটা আঙ্গুল ধরো তো!
গিন্নি -হে ঠাকুর কোন আঙ্গুল পূর্ণিমা কোন আঙ্গুল অমাবস্যা। পূর্ণিমা হলে তো পাশের বাড়ির টেপি!
হঠাৎ কর্তা চেঁচিয়ে বলে যা তোমার সময় শেষ।এত ভাবলে হবে।
পাশের বাড়িতে টেপির চিৎকার কে পার্সেল দিল।এটা আমার নয়। ঠিকানা দেখে মনে হচ্ছে ওই ঝগড়ুটে বৌদির।
পার্সেল …..।