কখনো কাঁদায়
প্রকৃতির চালচলন বোঝা দায়।তাকেও বিশ্বস্রষ্টা খেলায়। সূর্য বিহীন ঘন তমসায় বিজুলী চমকায়। এমন পরিস্থিতিতে বনবীথি থাকে আশঙ্কায়। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে যেন ধরাশাহী না হয়। সাথে যদি নামে বৃষ্টি মুশলধারায় ভাসাবে প্লাবন কে ঠেকাবে তায়। বিশ্বস্রষ্টার রোশানলে প্রকৃতি অসহায়। সমগ্র জীবকূলে নামে সংশয়। নীড়হারা শাবকহারা জীবকূল ছন্নছাড়া। বিভ্রান্ত মানব জাতি দিশেহারা। প্রকৃতির ধ্বংস লীলা যেন তারই খামখেয়ালিপনায়। পরাজিত মানবজাতি থাকে নীরব প্রার্থনায়। দুর্যোগের হাত থেকে মুক্তির আশায়। থাকে বিশ্বস্রষ্টার সাড়া মেলার অপেক্ষায়। আবার রবির তীব্র দহনে জ্বলে মেদিনী। তবুও বিশ্বপ্রকৃতির পানে থাকে চেয়ে ধরনী। ভিজতে চায় গর্ভবতী মেঘের নবজলধারায়। বরিষধারায় শুষ্ক মৃত্তিকা প্রাণ পায়। সবুজে শ্যামলে দোদুল দোলে। ছড়ায় হাসি ফুলে ফলে। হাসে কাশবন চামর দুলিয়ে। নাচে শরত আগমনি বার্তা নিয়ে। হেমন্ত ঝরা পাতায় শীত ঘনকুয়াশায়। বসন্ত হাসে শিমূল পলাশে।