এ এক আজব খেলা দুনিয়াদারির
খেলার আড়ালে কত খেলা
কত ঝকমারি।
হুটোপুটি, লুটোপুটি চলে সারা বেলা,
নানাদিকে লাঠালাঠি চলে এক কাঠা
জমি নিয়ে, প্রাণ ঝরে গাছের পাতার মতো ধূলিঝড়ে।
এ খেলার অন্তরালে অন্য খেলা চলে,
এক কাঠা জমি, তেল নুন লাকড়ি যেখানে
অবান্তর। নিরিবিলি সে খেলা অধম
আমার মাথার অন্তঃপুরে চলে। সম্ভবত তার
একরত্তি দাম নেই কারও কাছে।
পেয়েছি কত যে দাগা, হাবিজাবি কত বেচাকেনা
চলে চারদিকে দেখি-এক কানা কয়,
বলেন লালন শুনি, আরেক কানারে,
চল দেখি যাই ভবপারে,
নিজে যে চেনে না পথ, অপরকে ঘন
কুয়াশায় দেখায় পথের দিশা অন্ধ ভরসায়।
নিজেকে চিনি না আজও, অথচ অন্যের
অন্তরের নির্ভুল খবরদারি করার ভড়ং
হাট-বাজারের ভিড়ে করছি জাহির। অকস্মাৎ
নিজের ভেতরে একজন ঘুমভাঙা কণ্ঠস্বরে
বলে কানে কানে-
অন্যদের ধোঁয়াশায় না রেখে বান্ধব
মরো বাঁচো নিজেকেই চুপিসারে সহি কথা বলো।
শোনো হে নজর দাও, তোমার মাথার সরোবরে
জ্যোৎস্নাময় জেল একজন রাজহাঁস
কাটছে সাঁতার, আর পাখা থেকে মুক্তো আর কত
অপরূপ নক্ষত্র ঝরছে অবিরাম, হে কবি অঞ্জলি ভরে নাও তুমি,
বৃথাই মরছ ঘেঁটে ধূলিকণা আর
ডাস্টবিন-উপচানো দুর্গন্ধ-ছড়ানো এঁটো কাঁটা!