মৃত্যু আমার শিয়রে বলেই
তারসাথে লড়ি পাঞ্জা
নাই বা থাকুক পুত্র কন্যা
ভাইপো কিম্বা ভাঞ্জা!
অামি অবেহেলা ছুঁড়ি যম সেও ডরে
সিং ভাঙি তার বাহনে
তাই যম বেটা সেও আপনই ডরেতে –
পালায় বিহনে কাঁদনে
আমার মুখাগ্নি করে হেন কেউ নাই
তোপ দাগি আমি চাঁড়ালে
অগ্রদানীও গালাট্টা করে
সামনে নয় হে, আড়ালে!
আমি চলি যে আপন মর্জিতে আহা
স্ফূর্তি আপন বলয়ে
আমি ডাক্তারে ডাহা না মেনেও আহা
বদল আনি যেন প্রলয়ে!
আমি নিষিদ্ধ যত খাদ্য সে খাই
মদ্যধূম্র বিনা সে
তবে মাংস সে মোর জীবনে অংশ
চেনা চিকিৎসা বিনাশে!
আমি হেঁড়ে গলা ছেড়ে গান গাই বটে
সুস্থ সে বোধ করতে
আর পড়শিরা সব বাড়িতে চড়াও
গলাটি হা চেপে ধরতে!
আমি সমস্ত কিছু সমস্যা করি
স্ত্রী সে হায় ধ্বক সামলায় –
আর শেষমেষ হায় পেরে না উঠেই
বলে – “ডাইভোর্স মামলায়,
ঘানিটা টানালে বুঝবে তখন
একা থাকার কী জ্বালা!”
আর এইভাবে নাশি শান্তিটা আমি
সংসার ফালাফালা।।