আমাদের পাঁচ কাঠা জমি ও একটি করে গোরু দেওয়া হল
আমরা একটা গাছকে চতুর্দিক করে আমাদের গ্রাম প্রতিষ্ঠা করলাম
স্থির করা হল, গ্রামে কোনও নপুংসক থাকবে না
একটা সম্পূর্ণ শীতকাল আমরা ব্যয় করব কাঠ সংগ্রহের ব্রতে
গাছের নীচে বেজে উঠল শাঁখ ও ঘুঙুর
একখণ্ড ধাতু স্পর্শ করে শপথ করলাম আমরা পরশ্রীকাতর নই।
আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি পরস্পর তামাকে ও কলহে লিপ্ত—
লোহার কুচি, দাবার ঘুঁটি, হ্যারিকেন, ইঁদুর, উল্কা প্রভৃতি উড়ে আসত
তাতে আমাদের গোরুগুলি, ঘাস খাওয়া বন্ধ করে আকাশে তাকাত
আর ধীরে ধীরে পশ্চিমাঞ্চলের বনে প্রসার ঘটত হরিণের চাষ।
আমরা তির ছোড়া ও তাঁত চালনায় বিশ্বাস রাখি
কোনও জুজুবুড়ি, বা কোনও শুয়োরের ছানা গ্রামে প্রবেশ করলে
আমরা তাকে কচুবন, হাঁস ও ইক্ষুরস দিয়ে মুগ্ধ করে ফেলব
একটি সরোবর স্থাপনের জন্য প্রবীণেরা বায়না করেন,
যাতে হুঁকো খেতে খেতে হেমন্তের বিকেল কাটাতে পারেন তীরে বসে,
পদ্ম দেখে।
একদিন, রাত্রে আমরা ঘুমিয়ে পড়ব তড়িৎপুঞ্জের সাথে
কোনও কিন্নর বা চৌকিদার নন
একজন মানুষ শাসন করবেন আমাদের গ্রাম
তাঁর এক হাতে আমরা তুলে দেব একটি বেত, অন্য হাতে শান্ত এক ঋতু
তখন নক্ষত্র থাকবে,
আর
আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি তামাকে, কলহে, পুষ্পে, ইঞ্জিনে লিপ্ত
থেকে যাবে।