আজ যদি বেঁচে থাকতেন গান্ধিজী,
যে করেই হোক বন্দি শিবির থেকে
আমাকে উদ্ধার করতেন।
নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতেন।
এ আমি হলফ করে বলতে পারি, দিতেন।
হৃদয় বলে যেহেতু তাঁর কিছু ছিল, তিনি দিতেন।
বাড়ির ঘর দোর উঠোন আঙিনায়
নিশ্চিন্তে হাঁটাহাঁটি, উছলে পড়া খুশি,
বিন্দু বিন্দু স্বপ্ন দিয়ে সাজানো সংসার-সমুদ্রে
আমার সঞ্জীবনী সাঁতার দেখে
বড় সস্নেহে হাসতেন তিনি।
হৃদয় বলে যেহেতু কিছু ছিল তার, হাসতেন।
আমাকে আমার মতো যাপন
করতে দিয়ে আমার জীবন,
আমি নিশ্চিত, তিনি স্বস্তি পেতেন।
গান্ধিজী যদি বেঁচে থাকতেন আজ,
দেশের দুর্দশা দেখে তাঁর দুঃখ হত।
কালসাপের মতো ফুঁসে ওঠা অসহিষ্ণুতার সন্ত্রাস
বন্ধ করতে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের
ডাক দিতেন তিনি। নিশ্চয়ই দিতেন।
আমাকে আর কতটুকু,
মূলত দেশটাকেই বাঁচাতেন।