অচিন্ত্য এ ব্রহ্মান্ডের লোকলোকান্তরে
অনন্ত শাসন যাঁর চিরকালতরে
প্রত্যেক অণুর মাঝে হতেছে প্রকাশ,
যুগে যুগে মানবের মহা ইতিহাস
বহিয়া চলেছে সদা ধরণীর ‘পর
যাঁর তর্জনীর ছায়া, সেই মহেশ্বর
আমার চৈতন্যমাঝে প্রত্যেক পলকে
করিছেন অধিষ্ঠান; তাঁহারি আলোকে
চক্ষু মোর দৃষ্টিদীপ্ত, তাঁহারি পরশে
অঙ্গ মোর স্পর্শময় প্রাণের হরষে।
যেথা চলি, যেথা রহি, যেথা বাস করি
প্রত্যেক নিশ্বাসে মোর এই কথা স্মরি
আপন-মস্তক-‘পরে সর্বদা সর্বথা
বহিব তাঁহার গর্ব, নিজের নম্রতা।