রাত-ভোর তবুও আরও আঁধারে
ঢেকে যেতে থাকে,
নিস্তব্ধ ছায়া সময় ভেঙে…
অশনি-ভারি পায়ের শব্দ ওঠে।
নির্মম স্ফুলিঙ্গের অগ্নিবাণে
ঝরে পড়ে নক্ষত্র একে একে,
সমূলে তারার আকাশ খসে পড়ে,
ভয়াবহ অন্ধকার—
বারুদ বক্ষে থেমে যায় বজ্রধ্বনি স্বর, নীরব।
চারিদিক ভীষণ শব্দ, শব্দে ক্ষত চিহ্নে ভরে ওঠে
দেয়াল আসবাব। পাঁজরের লালস্রোত আঁকড়ে
নিথর তর্জনি,
সিঁড়ির ধাপে স্বপ্নদ্রষ্টা; রক্তস্নাত মানচিত্র,
ভূখণ্ড আমার স্বদেশ…!
কালো ফ্রেমে জ্বলবে না চোখে তারার দীপ্তি —
নিভে গেছে।
কালো অধ্যায় জুড়ে শুধু রক্ত ছোপ,
শতাব্দীর শোকাবহ দীর্ঘশ্বাসে
অপূরণীয় সন্তাপ ভিতর বাহির…
নিষ্ঠুরতার কোনে কোনে সাতচল্লিশ বছরের
গ্লানিসিক্ত কলঙ্কিত ইতিহাস।