খুঁজছিলাম মায়ের হাঁটুমুড়ে বসে থাকার প্রতিশব্দ
খুঁজছিলাম মায়ের কুটনো কোটার অবিকল স্বরসন্ধি
দুপুরের ব্যঞ্জনে দেখেছিলাম অতিথির বহুব্রীহি আপ্যায়ন
হেরে যেতে যেতে মাকে আমি…
মাকে আমি চোখ বুঁজে ঘুমোতে দেখিনি আজীবন
মাকে আমি ভাত মুখে চিবোতে দেখিনি বিকেলের পিঁড়িতে
মা’র শাড়ি রঙ পাল্টাতে পাল্টাতে
তিল তিল করে ধবধবে সাদা হতে দেখেছি
হেরে যেতে যেতে মাকে আমি…
হেরে যেতে যেতে মা’র আঁচলের গন্ধে
ভাতঘুম শেষ
কুলুঙ্গির চৌকাঠে বিষধর ফণা
কবে থেকে বাসা বেঁধে ক্ষয়ে গেছে গোধূলির রঙ
কবে যেন ভোররাত ছাইচাপা আগুনে পুড়েছে
এই সেই অপেক্ষার মন্ত্রপূত বিকেল
ফর্মালিনে ঢেকে রাখা মায়ের চন্দ্রবিন্দু আদল
সেই বুকে মুখ গুঁজে দুফোঁটা চোখের জল
উদ্বায়ু গন্ধ হয়ে রয়ে গেছে বিকেলের মেঘে
হেরে যেতে যেতে মাকে আমি রোজ দেখি
দিগন্তের ঈশান আলোয়
ব্যথাতুর আকাশের সীমানার খাঁজে
একা
পারিজাত ফুলের জাফরিকাটা পরিখায়
তীরবিদ্ধ অরণ্যের রক্তাক্ত ছায়ায়
হেরে যেতে যেতে মাকে আমি
অবশেষে হারিয়ে ফেলেছি